দশ জন নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিল কিংস

রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে দর্শকদের উল্লাস। গ্যালারিতে থাকা কয়েক হাজার দর্শক বসুন্ধরা কিংসের শিরোপা উদযাপনে শরীক হন। উপস্থিত হাজার দর্শকের মধ্যেই হয়েছে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
চলতি মৌসুমে ভালো পারফরম্যান্স না করা ডরিয়েল্টনের গোলেই বসুন্ধরা কিংস জিতেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ম্যান অফ দ্য ফাইনাল এই ব্রাজিলিয়ান। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও যৌথভাবে তিনি। তিন গোল করে ডরিয়েল্টনের সঙ্গে রয়েছেন আরো ২ জন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের ঘোষক যখন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে রাকিব হোসেনের নাম ঘোষণা করলেন তখন করতালি পড়ল সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের অন্যতম তারকা ফুটবলার ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। জাতীয় দল ও ক্লাব পর্যায়ে রাকিব নির্ভরযোগ্য ফুটবলার। সেই নির্ভরতায় আজ এক প্রাপ্তি যোগ হয়েছে।
টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে রাকিব নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'এটা আমার জন্য বাড়তি মোটিভেশন (প্রেরণা) । ১০ টি দলের মধ্যে আমি সেরা খেলোয়াড়। এটা অবশ্যই দারুণ বিষয়।' ঘরোয়া ফুটবলে টুর্নামেন্ট সেরা সাধারণত বিদেশি ফুটবলাররই হন। সেখানে রাকিবের এই কীর্তি অনেক আশার খবর দেশের ফুটবলের জন্য।
ফাইনাল ম্যাচে সমতা সূচক গোলটি তার। সেই গোল নিয়ে রাকিব বলেন, 'ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এ রকম গোল করা অবশ্যই স্বস্তির। বিশেষ করে দশ জন নিয়ে পিছিয়ে থাকা।' বসুন্ধরা কিংস ম্যাচে পিছিয়ে ছিল। একজন কম এবং এক গোলে পিছিয়ে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও কিংসের ফুটবলাররা ছিলেন আশাবাদী। কিংসের ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক রবসন রবিনহো বলেন, 'আমরা পিছিয়ে থাকলেও আত্মবিশ্বাস ছিল ম্যাচে ফিরব। যখন সমতা আসল তখন আত্নবিশ্বাসী ছিলাম জিততে পারব।'
মোহামেডান খেলা শেষে রানারআপ ট্রফি নিয়ে দ্রুত মাঠ ত্যাগ করে। মাঠ ত্যাগের আগে মোহামেডানের কোচ আলফাজ আহমেদ খানিকটা আফসোস নিয়ে বলেন, 'কিংস দশ জন হওয়ার পরেও আমরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। আমরা এগিয়ে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে সমতায় ফিরেছে তারা। আমরা পরিকল্পিতভাবে খেলতে পারিনি।'
এজেড/এইচজেএস