ব্যাটে-বলে ব্যর্থ ভারত, সিরিজে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে হেরে গেল ভারত। ৮ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচে সিরিজে সমতা ফেরাল এডেন মার্করামের দল। ম্যাচের প্রথমে ব্যাট করে ৪৬.২ ওভারে লোকেশ রাহুলেরা করেন ২১১ রান। জবাবে টনি ডি জোরজির শতরানের সুবাদে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্বাগতিকরা। দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২.৩ ওভারে ২ উইকেটে করেছে ২১৫ রান।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) টস জিতে রাহুলের দলকে প্রথমে ব্যাট করতে ডাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক মার্করাম। কিন্তু সুদর্শন এবং রাহুল ছাড়া ভারতের কেউই রান পেলেন না। শুরুতেই আউট হন রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৪)। তিন নম্বরে নামা তিলক বর্মাও রান পেলেন না। ৪৬ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আর এক ওপেনার সুদর্শন জুটি বাঁধেন রাহুলের সঙ্গে। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তারা যোগ করলেন ৬৮ রান। ৮৩ বলে ৬২ রান করলেন সুদর্শন। ৭টি চারের পাশাপাশি ১টি ছয় এল তার ব্যাট থেকে। ক্রিকেটজীবনের প্রথম দু’টি আন্তর্জাতিক ম্যাচেই অর্ধশতরান করলেন তিনি। রাহুল খেললেন ৬৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। ভারতীয় দলের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৭টি চার।
প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা রিঙ্কু সিংহও ভালো রান পেলেন না। যদিও শুরুটা খারাপ করেননি তিনি। ২টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে কেকেআরের ব্যাটার করলেন ১৪ বলে ১৭ রান। আবার ব্যর্থ হলেন সঞ্জু স্যামসন (১২)। অক্ষর পটেল (৭), কুলদীপ যাদবেরাও (১) দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। খানিকটা চেষ্টা করলেন আরশদীপ সিংহ। ১৭ বলে ১টি চার এবং ১টি ছয়ের মাধ্যমে ১৮ রান করলেন তরুণ জোরে বোলার। আবেশ খান করলেন ৯ রান। শেষ পর্যন্ত ৪ রানে অপরাজিত থাকেন মুকেশ কুমার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের সামনে সুবিধা করতে পারলেন না ভারতীয় ব্যাটারেরা। শেষ দিকে পরপর উইকেট হারায় সফরকারীরা। ৪ উইকেটে ১৬৭ রান থেকে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২১১ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার নান্দ্রে বার্গার। তিনি ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন। ৩৪ রানে ২ উইকেট বেউরান হেনড্রিকসের। ৫১ রানে ২ উইকেট পেলেন কেশব মহারাজ। ১টি করে উইকেট পেলেন উইলিয়ামস এবং মার্করাম।
জবাবে শুরু থেকেই সাবলীলভাবে খেললেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারেরা। জয়ের লক্ষ্য খুব বেশি না থাকায় কখনোই চাপের মুখে পড়েননি তারা। ভারতীয় বোলাররাও তেমন সুবিধা করতে পারলেন না এদিন। প্রথম উইকেটের জুটিতেই দক্ষিণ আফ্রিকা ২৭.৫ ওভারে ১৩০ রান তুলে নেয়। দুই ওপেনার হেনড্রিকস এবং টনি ডি স্বাচ্ছন্দ্যে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। হেনড্রিকস করলেন ৮১ বলে ৫২ রান। ৭টি চার মারলেন তিনি। আরশদীপের বলে মুকেশের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া ওপেনার। ২২ গজের অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন জোরজি। একদিনের আন্তর্জাতিকে নিজের প্রথম শতরান করে ভারতের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিলেন তিনি। তিনি খেললেন ১২২ বলে ১১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৯টি চার এবং ৬টি ছক্কা। তাঁকে ভরসা দেন তিন নম্বরে নামা রাসি ভ্যান ডার ডুসেনও। তিনি করলেন ৫১ বলে ৩৬ রান। তিনি চার মারলেন ৫টি। জয়ের জন্য ৬ রান বাকি থাকতে তাকে আউট করলেন রিঙ্কু। মার্করাম অপরাজিত থাকলেন ২ রানে।
ভারতের কোনো বোলারই এদিন প্রত্যাশিত ছন্দে বল করতে পারেননি। আরশদীপ ২৮ রান খরচ করে ১ উইকেট নিলেন। উইকেট না পেলেও কিছুটা ভাল বল করলেন অক্ষর। শেষ বেলায় বল করতে এসে ২ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন রিঙ্কু।
জেডএস
