৭ শিকারে ইস্ট জোনকে চ্যাম্পিয়ন বানালেন খালিদ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে থাকলেও, খেলা হয়নি পেসার খালেদ আহমেদের। এরপর জাতীয় দল যখন ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ব্যস্ত, তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) ইস্ট জোনের হয়ে তিনি মাঠে নামেন। খালেদের বোলিং তোপের সামনে আজ (বুধবার) দাঁড়াতেই পারেননি নর্থ জোনের ব্যাটাররা। তার ৭ শিকারের দিনে ইস্ট জোন ইনিংস ও ১১২ রানে জিতে প্রথমবারের মতো বিসিএলের শিরোপা জিতেছে।
প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া ডানহাতি এই পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫০ রানে ৭ উইকেট। প্রথম ইনিংসে উত্তরাঞ্চলের করা ৩৫২ রানের জবাবে মাত্র ১০৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় পূর্বাঞ্চল। পুনরায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তার গুটিয়ে যায় ১৩২ রানে। উত্তরাঞ্চলের খালেদ ও রেজাউর রহমানদের পেস আগুনে মাত্র তিনদিনেই খেলা শেষ হয়ে গেছে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইরফান শুক্কুরের ইস্ট জোন ৩৫২ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল। সবুজাভ উইকেটে পরে পেসাররা ভালোই সহায়তা পেয়েছেন। যার বিপরীতে প্রথম ইনিংসে নর্থ জোন কোনো চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি ইস্টকে। এতে বড় লিড পান শুক্কুর-খালেদরা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয়, আকবর আলীদের খালেদ একাই উড়িয়ে দিয়েছেন।
৩ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম সেশনেই গুটিয়ে যায় উত্তরাঞ্চলের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করতে পারেন অধিনায়ক আকবর আলী। আগের দিন দুটি উইকেট নেওয়া খালেদ তৃতীয় দিনে শিকার ধরেন আরও পাঁচটি। নাহিদ রানাকে বোল্ড করে তিনি ম্যাচের ইতিও টেনে দেন। পুরো ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে খালেদ হয়েছেন ম্যাচসেরা। এছাড়া টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছেন ২ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে।
এর আগে বিসিএলে চারবার রানার্স আপ হয়েছিল ইস্ট জোন। তিন ম্যাচের দুটিতে জয় পাওয়া ইস্ট জোন এবার একটিতে ড্র করেছে। ২০ পয়েন্ট নিয়ে অন্য তিন দলকে পেছনে ফেলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।
এএইচএস