দিয়া-সুরকৃষ্ণদের অভিষেক সভা

মাঠ এবং মাঠের বাইরে অ্যাথলেটদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতীয় অলিম্পিক কমিটিকে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে অ্যাথলেট কমিশন রয়েছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) নীতিমালা অনুসরণ করে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো অ্যাথলেট কমিশন গঠন করে। মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিওএ কমিশন পুনঃগঠন করেছে।
আজ দুপুরে বিওএ ভবনে নতুন অ্যাথলেট কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন কমিশনের অভিষেক সভায় বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা উপস্থিত ছিলেন। মহাসচিব অ্যাথলেট কমিশনের কার্যক্রম সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় উপস্থিত নবগঠিত এ্যাথলেট কমিশনের সদস্যগণ সর্বসম্মতিক্রমে ফারহাদ জেসমিন লিটিকে অ্যাথলেট কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেন।
সাবেক জাতীয় অ্যাথলেট লিটি নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে বলেন, 'আজ প্রথম সভায় মূলত পরিচিতি পর্বই হয়েছে। পাশাপাশি বিওএ মহাসচিব আমাদের দায়িত্ব ও পরিধির ব্যাপারে সাধারণ ধারণা দিয়েছেন। আমরা খুব শীঘ্রই নিজেরা সভা করব। ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।' তারকা আরচ্যার দিয়া সিদ্দিকীও বেশ উচ্ছ্বসিত আজকের সভা নিয়ে, 'খেলার বাইরে নতুন দায়িত্বে এবারই প্রথম। ভিন্ন একটি দায়িত্ব বেশ রোমাঞ্চের মতোই। আরচ্যারির বাইরেও অন্য খেলা নিয়েও কাজের সুযোগটা বেশ দারুণ। আশা করি ভালো কিছুই করতে পারব।'
সাত সদস্য বিশিষ্ট অ্যাথলেট কমিশনে অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- সাবেক জাতীয় সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা, জাতীয় গলফার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় শ্যূটার শাকিল আহমেদ, জাতীয় বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমা, জাতীয় ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও জাতীয় আরচ্যার দিয়া সিদ্দিকী। গত অ্যাথলেট কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন জোবেরা রহমান লিনু।
এজেড/এইচজেএস