কেপটাউনে যে কারণে এক দিনে ২৩ উইকেটের পতন

গতকাল কেপটাউনে কোনো এক ভূত যেন চেপে বসেছিল ব্যাটারদের কাঁধে! যা ২২ গজকে রীতিমতো মরণ ফাঁদ বানিয়ে রেখেছিল। যেই উইকেটে গেছেন তারই কূপে পরে মৃত্যু হয়েছে! দুই দল মিলে একদিনেই হারিয়েছে ২৩ উইকেট।
টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট মিলিয়ে এই মাঠে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন ডিন এলগার। এখানকার উইকেট হাতের তালুর মতো চেনা এলগারের। অথচ তার বিদায়ী ম্যাচে উইকেটের আচরণে আবাক তিনি। দিন শেষে স্টার স্পোর্টসে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার জানান, উইকেট যেন চিনতেই পারছেন না।
তিনি বলেন, 'এটি (পিচ) সাধারণত আরেকটু মন্থর থাকে এবং ব্যাটার হিসেবে তাতে মানিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু এবার দেখা গেছে, সেশন যত এগিয়েছে, ততই এটি আরও গতিময় হয়ে উঠেছে। খালি চোখে দেখে পিচকে এতটা খারাপ মনে হয়নি। অতীতে এই মাঠের উইকেট, এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটেও কখনও এতটা বাজে আচরণ করেনি। বরং বেশ ভালো ছিল আগে। এতটা ভয়ঙ্কর কখনোই মনে হয়নি।'
এই উইকেট ব্যাটারদের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর ছিল, তা বোঝা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশওয়েল প্রিন্সের কথায়। খেলোয়াড়ি জীবনের বেশির ভাগ সময় ঘরোয়া ক্রিকেটে তার ঘরের মাঠ ছিল এটিই। এরকম উইকেট তার কাছেও অচেনা বলে জানালেন দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে।চ
তিনি বলেন, 'এই মাঠের পিচ এরকম আগে কখনও দেখিনি। প্রথম দিনেই এত গতিময় উইকেট আগে দেখিনি। পাশাপাশি অসমান বাউন্স ও অনেক সিম মুভমেন্টও ছিল। গতি বেশি থাকলে অবশ্য ব্যাটারদের সমস্যা নেই, তবে বাউন্স ধারাবাহিক হতে হয়। এখানে বাউন্স কিছুটা অধারাবাহিক ছিল, কিছু বল নিচু হয়েছে, কিছু লাফিয়েছে। এছাড়া সিম মুভমেন্টও ছিল অনেক। ম্যাচে প্রথম দিনে সিম মুভমেন্ট থাকতেই পারে। তবে অসম বাউন্সের সঙ্গে সিম মুভমেন্ট থাকলে, তখন পরিস্থিতি ভিন্ন হয়ে ওঠে।'
এইচজেএস