নির্বাচনী ব্যস্ততায় এগিয়ে বাফুফে

নির্বাচন ঘিরে উন্মাদনা গত এক মাস জুড়েই। ক্রীড়াঙ্গনও এই উন্মাদনার বাইরে নয়। দেশের প্রায় সব ফেডারেশনের কর্মকর্তারা কম-বেশি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নির্বাচনে প্রার্থীতা এবং প্রচারণায় সরাসরি সম্পৃক্ততার সংখ্যায় বাফুফে কর্মকর্তারা অন্য সকল ফেডারেশনকে পেছনে ফেলেছেন।
বাফুফে কার্যনির্বাহী কমিটি ২১ জনের। সাবেক জাতীয় অধিনায়ক আরিফ হোসেন মুন পদত্যাগ করায় এখন বাফুফের আকার ২০ জনের। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান, নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ ছাড়া বাকিরা কম বেশি নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যস্ততায় রয়েছেন।
ফুটবল ফেডারেশনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ সিনিয়র সহ-সভাপতি। খুলনা-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী গত কয়েক মাস ধরেই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। বিশেষ করে গত কয়েক সপ্তাহ নিজ জেলাতেই রয়েছেন। বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান তিনি। এখন খুলনা থেকেই বাফুফের আর্থিক বিষয়াদি সম্পাদনা করেছেন।
বাফুফের চার সহ-সভাপতির মধ্যে দুই জন প্রার্থী। যশোর ৩ থেকে কাজী নাবিল আহমেদ ও নোয়াখালী-২ থেকে আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক নির্বাচন করছেন। নাবিল আওয়ামী লীগ মনোনীত হলেও মানিক স্বতন্ত্র। নাবিল যশোর ও মানিক নোয়াখালীতে নিজ নিজ আসনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বাকি দুই সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও ইমরুল হাসান। মহি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। নিজ জেলায় মনোনয়ন না পেয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে নির্বাচনে সময় দিচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক। সাঈদ খোকন, বাহাউদ্দীন নাছিমের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অত্যন্ত সক্রিয়। বাফুফের আরেক সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান দেশের শীর্ষস্থানীয় গ্রুপের উর্ধ্বতন কর্মকতা। তিনি পেশাগত কাজে ব্যস্ত।
বাফুফে সদস্য ওয়াদুদ পিন্টু নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, নুরুল ইসলাম নুরু গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, সাবেক জাতীয় অধিনায়ক ইলিয়াস গোপালগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। স্বাভাবিকভাবেই এই তিন জন স্ব স্ব এলাকায় নির্বাচনে ব্যস্ত। বাফুফে কমিটির সবচেয়ে বর্ষীয়ান সদস্য হারুনুর রশীদ। ক্রীড়াঙ্গনে আওয়ামী ঘরনার সবচেয়ে সিনিয়র সংগঠক। আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বার্ধক্যকারণে এবার নির্বাচনে খুব একটা সক্রিয় না।
বাফুফের নতুন সদস্য ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক। বাফুফের এই সদস্য নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। সাবেক জাতীয় অধিনায়ক সত্যজিত দাস রুপু এবার চট্টগ্রাম ১২ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়ন না পাওয়ায় চট্টগ্রামে নৌকার প্রতীককে সমর্থন দিয়ে তার প্রচারণা করছেন। বাফুফের সদস্য সাবেক ফুটবলার বিজন বড়ুয়া তার বন্ধু কক্সবাজারের এমপি কমলের নির্বাচন করছেন। সিলেটে মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম ও খুলনায় অ্যাডভোকেট সাইফুলও নির্বাচনে বেশ সক্রিয়। বাফুফের অন্যতম দুই সদস্য আমের খান ও মহিদুর রহমান মেরাজ। দুই জনই সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহীর অনুসারী। ঢাকা ৮ এর নির্বাচনী প্রচারণায় মহীর সাথে থাকেন মেরাজও।
বাফুফে নির্বাচনে সদস্য পদে সর্বাধিক ভোট পাওয়া জাকির হোসেন চৌধুরী সরকারি কর্মকর্তা। তাই নির্বাচনী প্রচারণায় সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ নেই তার। বাফুফের সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ। মহিলা আওয়ামী লীগে পদ ছিল বাফুফের এই কর্মকর্তার। এবারের নির্বাচনে তাকে সেভাবে সক্রিয় দেখা যায়নি। ফেডারেশন থেকে পদত্যাগ করা মুনও নির্বাচনে অত্যন্ত সক্রিয়। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নীলফামারী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এজেড/এইচজেএস