লড়লেন জয়, স্বল্প ব্যবধানে হারলেন মানিক

জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই। সাবেক ক্রীড়াবিদ-সংগঠকদের অনেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। আবার কেউ করেছেন স্বতন্ত্রভাবে। স্বতন্ত্র দাঁড়ানো ক্রীড়াঙ্গনের কেউই নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি।
ক্রীড়াবিদদের মধ্যে থেকে ক্রীড়া মন্ত্রী হওয়ার কৃতিত্ব গড়েছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক আরিফ খান জয়। এবার নির্বাচনে তিনি নেত্রকোনা-২ আসন থেকে পরাজিত হয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তার পরাজয়ের ব্যবধান প্রায় বিশ হাজার। ২০১৪ সালে নেত্রকোনা-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রীত্ব পেয়েছিলেন জয়। পরের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় নির্বাচন করেননি। এবারও তিনি দলীয় প্রতীক পাননি। এরপরও স্বতন্ত্রভাবে যথেষ্ট লড়াই করেছেন ।
আরও পড়ুন
বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক নোয়াখালী-২ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনে নতুন এই সংগঠকে ভোটের মাঠেও প্রায় চমক দেখিয়ে ফেলছিলেন। এই আসনের বর্তমান এমপি মোরশেদ আলমের সঙ্গে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন বাফুফের অন্যতম নির্ধারক। মাত্র ৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন মানিক।
এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার ও বিসিবির সাবেক পরিচালক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। মানিকগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচনে তিনি তেমন ভোট পাননি। বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মমতাজ বেগম পরাজিত করেছেন টুটুলের চাচাতো ভাই দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুকে।
নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছিলেন বাফুফের সাবেক সদস্য ও চট্টগ্রাম আবাহনীর মহাপরিচালক শামসুল হক চৌধুরি। ২০০৮ থেকে টানা তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া শামসু এবার পরাজিত হয়েছেন।
এজেড/জেএ