যে গোলের জন্য ‘পুসকাস’ জিতলেন ব্রাজিলের মাদ্রুগা (ভিডিও)

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ফুটবল বিশ্বে ২০২৩ সালের সেরা খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করেছে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। যেখানে সেরা গোলের জন্য পুসকাস অ্যাওয়ার্ড জেতা গিলের্মি মাদ্রুগা অপরিচিত নামই বটে। ডি বক্সের বাইরে থেকে অবিশ্বাস্য ও নান্দনিক এক গোল করায় ব্রাজিলের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার পুরস্কৃত হয়েছেন। দেশটির ঘরোয়া লিগ সেরি বি’র ম্যাচে গত ২৭ জুন বোতাফোগো এফসির হয়ে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন মাদ্রুগা। এর আগে নেইমার জুনিয়রসহ ব্রাজিলের আরও দুজন ফুটবলার এই পুরস্কার জেতেন।
২৩ বছর বয়সী মাদ্রুগা পুসকাস পুরস্কার জয়ের দৌড়ে পেছনে ফেলেছেন ব্রাইটন অ্যান্ড হুভ অ্যালবিওনের জুলিও এন্সিসকো ও স্পোর্টিং লিসবনের নুনো সান্তোসকে। তিনজনের গোলই ছিল মনোমুগ্ধকর। তবে পুসকাস অ্যাওয়ার্ডের জন্য লন্ডনে অনুষ্ঠিত ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার মঞ্চে ঘোষণা করা হয় মাদ্রুগার নাম। এর আগে ৯১ হাজার ফুটবল ভক্ত ও জুরিরা তার গোলটিকে নির্বাচিত করেন।
বর্তমান ফুটবল বিশ্বে বাইসাইকেল কিকে গোল দেওয়ার দৃশ্য একেবারে নতুন না হলেও, অনিন্দ্য এসব মুহূর্তের বেশ অভিজ্ঞতা আছে ভক্তদের। মাদ্রুগার ওই গোলের ভিডিওতে দেখা যায়— বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে গিয়েছিল বোতাফোগো। বক্সের ভেতর থেকে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় হেডে বল ক্লিয়ার করলে সেটি বক্সের বাইরে চলে যায়। এরপর বল মাটিতে পড়ার আগে লেগে থাকা মার্কারকে ছিটকে সেখান থেকেই ওভারহেড কিক নেন মাদ্রুগা। গোলরক্ষক পিছিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত সেই বলের নাগাল পাননি।
— MARCA (@marca) January 15, 2024
ব্রাজিলের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মাদ্রুগার অবশ্য গোল করার তেমন অভ্যাস নেই। পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে করেছেন মাত্র ৭ গোল। মূলত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে তার দক্ষতা রয়েছে। অথচ বাবার পরামর্শে ১৩ বছর বয়সে ফুটবল বেছে নেওয়া মাদ্রুগা নাকি এর আগে হ্যান্ডবল খেলোয়াড় হতে চেয়েছিলেন।
ওই গোলটিতে নাকি মাদ্রুগা নিজেও অনেক অবাক হয়েছিলেন। এ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়ায় এই ব্রাজিলিয়ান জানান, ‘ম্যাচের পর আমি আবার গোলের ভিডিও দেখি। আর তখনই বুঝতে পারি, আমি কী করেছি। আমার ভাই আর আমি পরস্পরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম আর আমি তাকে বলছিলাম, ভাই আমি এটা করেছি?’
আরও পড়ুন
এরপর পুরস্কার পাওয়ার পর আবেগাপ্লুত মাদ্রুগা জানান, ‘এটি আমার জীবনের ব্যতিক্রমী দিন। এটি ব্যক্তিগহ ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে এবং যারা আমার ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দেখে আসছেন তাদের জন্য এটি স্মরণীয় মুহূর্ত।’ এরপর নিজের বাবাকে উদ্দেশ্য করে এই ফুটবলার বলেন, ‘বাবা, তোমাকে তারা আর পাগল ডাকতে পারবে না। আমি সত্যিই পেশাদার ফুটবলার হয়ে উঠছি। এবং মা, আমি যখন দূরে থাকি, তুমি আড়ালে কাঁদো। এটি তার পুরস্কার।’
এএইচএস