‘লাথি’ কাণ্ডের পর নেই খেলাও!

২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশের ক্রীড়াঙ্গন উত্তাল হয়েছিল ‘লাথি’ কাণ্ডের ঘটনায়। বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ ফেডারেশনের ফলাফলকে প্রতিবাদ জানিয়ে মঞ্চে প্রাপ্ত পুরস্কারে লাথি দিয়েছিলেন। শুভ’র কাণ্ড যেমন সমালোচিত হয়েছিল, তেমনি ফেডারেশনের ফলাফলও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
শুভ’র সেই ঘটনা তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল পর্যন্ত গড়ায়। সেই ঘটনায় তদন্ত কমিটি রিপোর্টও দিয়েছিল। গত বছর জুনে ফেডারেশনের কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ‘বিতর্কিত’ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামকে বাদ দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। নির্বাচিত কমিটি এবং অ্যাডহক— কোনো কমিটিই ২০২৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে কোনো প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারেনি।
অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (প্রশাসন) শেখ হামিম হাসান। তিনি ডিসেম্বর মাসে অবসরে যান। তাই সকল দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন এবং খেলা আয়োজনে অপরাগতার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন এনএসসি’র সদ্য বিদায়ী এই পরিচালক। অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক। বিতর্কিত মন্তব্য ও কর্মকাণ্ডে তাকে সরিয়ে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
আরও পড়ুন
৮৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে কয়েকবার জাতীয় প্রতিযোগিতায় সেরার পুরস্কার পাওয়া জামাল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘একটি বছর হারিয়ে গেল আমাদের মধ্য থেকে। এক বছর খেলা না থাকলে একজন বডিবিল্ডারের শরীরের কন্ডিশনও ভাল থাকে না।’
একই সুর বাংলাদেশ জিম মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ জিম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়ার কণ্ঠেও, ‘শরীরগঠন প্রতিযোগিতায় মূলত আমাদের জিমের ছেলে-মেয়েরাই অংশ নেয়। খেলা না থাকায় ছেলে-মেয়েরা হতাশ হয়ে পড়ছে। তাছাড়া করোনাকালে অনেক ভর্তুকি দিতে হয়েছে আমাদের জিমগুলোতে।’
এজেড/এএইচএস