ঢাকা দলে সুজনের দুই মেরুদণ্ড

দুর্দান্ত ঢাকার শুরুটা হলো দুর্দান্ত। টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে তারা হারিয়েছে সহজ জয়ে। ম্যাচটা শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিলেও খুব বেশি চাপের ছিল না পরিস্থিতি। ঢাকা জিতেছে ৫ উইকেট হাতে রেখে। তবে কাজের কাজ করে রেখেছিলেন বোলাররাই।
উড়তে থাকা কুমিল্লার ব্যাটিং ইউনিটকে শেষদিকে চেপে ধরেছেন ঢাকার বোলাররা। হ্যাটট্রিক পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তাসকিনও সামাল দিয়েছেন চাপ। গতকাল মাঠ ছাড়ার সময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঢাকার প্রধান কোচ সুজন তাই দুই বোলারকে কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না।

জয়ের পর সুজন বলেন, ‘তাসকিন-শরিফুলকে অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে শেষ দুই ওভারে যেভাবে বোলিং করেছে, খেলাটাকে আটকে রেখেছে। আমি আশা করছিলাম হয়ত ১৫৫ কিংবা ১৬০ রান তাড়া করতে হবে। ওইখান থেকে ১৭ রান কম দেয়া বিরাট ব্যাপার। দুজনই আমার মেরুদণ্ড ঢাকার তারকা। তাসকিন-শরিফুলের এই পারফরম্যান্সটাই আমি চাই, তারা ঠিকঠাক দিয়েছে। হয়তবা আমাদের জন্য কাজ করার অনেক জায়গা আছে।’
কুমিল্লার প্রধান কোচ সালাউদ্দিন এদিকে ঢাকার সুজন। দুইজনই ঘরোয়ার পরীক্ষিত কোচ। দুই কোচের লড়াই নিয়েও কথা বলেছেন সুজন, ‘দিন শেষে খেলোয়াড়েরাই সব। আমার কাছে যদি ওই অস্ত্রই না থাকে তাহলে আমি লড়াই করতে পারব না সালাউদ্দিনের সঙ্গে। সালাউদ্দিনের দল যে হেভিওয়েট, ওটার সঙ্গে তুলনা করলে আমার দল দলই না। আমরা যতই কোচিং ভালো করি না করি খেলোয়াড়দের এক্সিকিউশন না থাকলে কোচদেরও দেখতে ভালো লাগবে না, তাই না? সব কথার শেষ কথা খেলোয়াড়েরা কেমন মাঠে পারফর্ম করছে।’
কুমিল্লার থেকে এদিন সুজনের ভাষ্যে এগিয়ে ছিলেন তারাই, ‘আজকে তো কাগজে-কলমে শক্তিশালী না, আজকে তো মনে হয় আমরাই ছিলাম। নাম বিচারে অবশ্যই কুমিল্লা অনেক বড় নাম, চার বারের চ্যাম্পিয়ন। অবশ্যই, ওদের দলে এমন কিছু খেলোয়াড় আছে যারা নিজেরাই ম্যাচ উইনার। আমি মনে করি কাগজে কলমে আমরা শক্তিশালী ছিলাম।’
এসএইচ/জেএ