‘টেস্ট ক্রিকেটের মৃত্যুর কারণ হবে বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ’

ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণ ধরা হয় টেস্ট ক্রিকেটকে। অথচ সময়ের পরিক্রমায় জৌলুস হারিয়েছে সাদা পোশাকের ক্রিকেট। এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে। অর্থের ঝন-ঝনানি আর চার-ছক্কার রোমাঞ্চের মধ্যে যেন লাইফ সাপোর্টে লাল বলের ক্রিকেট!
এই মুহুর্তে চলছে তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলছে— বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ টোয়েন্টি ও আরব আমিরাতে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি (আইএল টি-টোয়েন্টি)। এসএ টোয়েন্টির জন্য নিউজিল্যান্ড সফরের টেস্ট দলে ৭ জন্য অনভিষিক্ত ক্রিকেটার পাঠাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এসব লিগকে প্রধান্য দেওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অস্ট্রেলিয়া সফরের টেস্ট দলে আছে ৭ জন নতুন মুখ।
হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে আলাপে টেস্টের জনপ্রিয়তা এবং এর ভবিষ্যত নিয়ে হোল্ডার বলেন, ‘যেভাবে চলছে, এভাবে চলতে থাকলে টেস্ট ক্রিকেট মরে যাবে। এটা দুঃখজনক হলেও সত্যি, বিশেষ করে বর্তমান কাঠামোর কারণে। বিগ থ্রি–ই এখন আইসিসি তহবিলের বেশির ভাগটা পেয়ে থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো ছোট ছোট দলগুলোর জন্য এভাবে টিকে থাকা কঠিন।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এবং টেস্টের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন হোল্ডার। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট বাঁচানোর একমাত্র উপায় হতে পারে, যদি বছরের একটা সময় টেস্টের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এতে করে সেরা খেলোয়াড়দের পাওয়া যাবে। এর চেয়ে বড় কথা, তাদের পারিশ্রমিকও যথেষ্ট পরিমাণের হতে হবে।’
ফুটবলে লিগ ও আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য সময় নির্দিষ্ট করা থাকে। ক্রিকেটেও এমন ব্যবস্থা চালুর কথা ভাবা যেতে পারে। হোল্ডার বলেন, ‘একটা সময় বের করা দরকার। এমন সময়, যেটা ঘরোয়া লিগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না। আমার মনে হয় ক্রিকেট ফুটবল মডেলে চলে যেতে পারে। যেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য একটা সময় নির্দিষ্ট করা থাকবে, আরেকটা সময় নির্দিষ্ট করা থাকবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জন্য। হতে পারে এটাই এগিয়ে যাওয়ার মডেল। তবে কে জানে কী হয়?’
এইচজেএস