স্কোয়াডে না থাকা খেলোয়াড়ের ব্যাটে মান বাঁচল ঢাকার

ইনিংসের শুরুতেই রক্তাক্ত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় লঙ্কান ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকাকে। কনকাশন বদলি হিসেবে মাঠে নামেন লাসিথ ক্রুসপুলে। যিনি ১৫ জনের স্কোয়াডেই ছিলেন না। যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শেষ পর্যন্ত ক্রুসপুলের ব্যাটেই মান বাঁচল ঢাকার। যদিও আল আমিন-বিলালদের বোলিং তোপে সংগ্রহটা বড় করতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৬ রান সংগ্রহ করেছে সৈকতরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৪৬ রান করেন ক্রুসপুলে। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন হোসেন ও বিলাল খান।
টস জিতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঢাকাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন দানুশকা গুনাথিলাকা। আল-আমিনের বলটা ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকার লঙ্কান এই ওপেনার। ইনসাইড এজ হয়ে বল আঘাত করে হেলমেটে। পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়ান তিনি। তবে বোঝা যাচ্ছিল খেলার মত অবস্থায় নেই আর। গাল থেকে রক্ত ঝরছিল।

গুনাথিলাকার রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পর অবশ্য ঢাকাও পথ হারিয়েছে। সাইফ হাসান ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি। আল-আমিনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন নাজিবউল্লাহ জাদরানকে। পরের ওভারেই ডাক খেয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার অ্যালেক্স রস শুরুটা ভালো করেছিলেন কিন্তু রান আউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। ঢাকা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় সাব ক্রসপুলে ও ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেয় ঢাকা।
তবে ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে ক্রসপুলেকে। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে শুভাগতকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩১ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করেছেন ৪৬ রান। শুক্কুর করেন ২৬ বলে ২৭ রান। শেষ দিকে ৯ বলে ১৫ রান করে পুঁজিটা আরেকটু বাড়ান তাসকিন।
এফআই