ফেডারেশনে আবাহনীর ক্যাম্প

এবারের মৌসুমটি আবাহনীর হকির জন্য একটু ব্যতিক্রমই। দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দলের হকি খেলোয়াড়রা এবার ক্যাম্প করবে ফেডারেশনে। টেন্টে ফুটবলাররা অবস্থান করায় এবং ক্লাবের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় হকি দল ফেডারেশনে থাকবে। আজ দলবদলের আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি আবাহনীর খেলোয়াড়রা ক্যাম্পের প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন। আগামীকাল সকালে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু হবে দলটির।
আবাহনীর ক্যাম্প প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ বলেন, 'আবাসন সংকটের বিষয়টি উল্লেখ করে আবাহনী ফেডারেশনে চিঠি দিয়েছে। সমস্যায় পড়ে তারা প্রথমবারের মতো এমন চিঠি দিয়েছে আগে কখনোই তারা আবাসন চায়নি।’
নব্বইয়ের দশকের পরবর্তী সময়েও আবাহনী-মোহামেডানে ফুটবল, ক্রিকেট ও হকি খেলোয়াড়রা এক সঙ্গেই থাকতেন ক্লাবে। গত এক দশকে ক্রিকেটাররা ক্লাবে থাকেন না বলেই চলে। ফুটবল ও হকি খেলোয়াড়রা অবশ্য এখনো ক্লাবে ক্যাম্প সংস্কৃতি বজায় রেখেছেন। আবাহনীর হকি খেলোয়াড়দের ক্লাবের বাইরে ক্যাম্পের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটতে যাচ্ছে। ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ফুটবলাররা কিছু দিন ক্লাবের বাইরে থেকে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন।
আবাহনীর সঙ্গে আরো চারটি ক্লাব আবেদন করেছে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক, 'আবাহনীর মতো হকির আরেকটি বড় ক্লাব অ্যাজাক্সও এবার ফেডারেশনে ক্যাম্প করার জন্য আবেদন করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ স্পোর্টিং, দিলকুশা ও ভিক্টোরিয়াও ফেডারেশনে আবাসন সুবিধার জন্য আবেদন করেছে।’ ক্যাসিনো কান্ডের পর দিলকুশা ও ভিক্টোরিয়া ক্লাবের সিলগালা খোলা হলেও এখনো খেলোয়াড় থাকার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি।
হকি ফেডারেশনের প্রশাসনিক কক্ষ পেরিয়ে স্টেডিয়ামের এক প্রান্তে বেশ কয়েকটি আবাসন কক্ষ রয়েছে। সেই কক্ষগুলো সাধারণত জাতীয় দলের ক্যাম্পের সময় ব্যবহৃত হয়। গত বছর দ্বিতীয় বিভাগ লিগের কয়েকটি ক্লাব ফেডারেশনের শর্ত ও নির্দেশনা মেনে আবাসন সুবিধাগ্রহণ করেছিল। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোকে এখনো কোনো লিখিত নির্দেশনা দেয়নি বলে জানা গেছে।
দেশের আরেক ঐতিহ্যহাবী ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ফুটবল, হকি, ক্রিকেট তিন খেলাতেই অংশগ্রহণ করে। ঘরোয়া ফুটবল চলমান রয়েছে। ক্লাব ক্যাম্পে ফুটবলাররাই রয়েছেন। হকি খেলোয়াড়দের জন্য বন্ধ থাকা অডিটরিয়াম সংস্কার কাজ শুরু করেছে সাদা-কালো ক্লাব।
এজেড/এইচজেএস