ডাবল সেঞ্চুরিতে গাভাস্কার-কাম্বলির পাশে জয়সাওয়াল

বয়সভিত্তিক দলে খেলার সময়ই লাইম লাইটে এসেছিলেন যশস্বী জয়সাওয়াল। এরপর আইপিএল, রঞ্জি ট্রফি ও ভারত 'এ' দলের হয়ে ধারবাহিক পারফর্ম করে এবার জাতীয় দলেও নিয়মিতে হতে যাচ্ছেন এই ওপেনার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবে মাত্র পা রেখেছেন, টেস্টে তার ম্যাচ সংখ্যাটা এখনও এক অঙ্কের ঘরে। তাতেই রোহিত শর্মা-শুবমান গিলদের মতো ব্যাটারদের ভিড়েও আলো কাড়েছেন জয়সাওয়াল।
সাদা পোশাকে অভিষেকেই সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছিলেন জয়সাওয়াল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ১৭১ রানে থেমেছিলেন। খানিকটা আফসোস নিশ্চয়ই ছিল! ভাগ্য সঙ্গী হলে ডাবল সেঞ্চুরির দেখাই পেয়ে যেতেন। তবে সেই আক্ষেপ ঘুচাতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি এই তরুণ ওপেনারকে।
নিজের দশম টেস্ট ইনিংস খেলতে নেমে এবার ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন জয়সাওয়াল। বিশাখাপত্তমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। রোহিত-গিলদের ব্যর্থতার ক্ষতে প্রলেপ দিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। দলের মোট রানের ৫০ শতাংশেরও বেশি একাই করেছেন তিনি।
২৭৭ বলে ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন জয়সাওয়াল। থেমেছেন ২৯০ বলে ২০৯ রান করে। যেখানে ১৯ চারের পাশাপাশি ৭টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে উইকেটে ৪২৩ মিনিট সময় কাটিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই ওপেনার।
ভারতের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন জয়সাওয়াল। তার চেয়ে কম বয়সে ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন সুনীল গাভাস্কার ও বিনোদ কাম্বলি। গাভাস্কার ২১ বছর ২৭৭ দিনে দ্বিশতক করেছিলেন। কাম্বলি করেছিলেন ২১ বছর ৩২ দিনে।
জয়সাওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে ১১২ ওভার খেলে ৩৯৬ রানে অলআউট হয়েছে ভারত। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন জেমস অ্যান্ডারসন, শোয়াইব বাশির ও রেহান আহমেদ।
এইচজেএস