বিসিবির বহুল কাঙ্ক্ষিত বোর্ড সভার তারিখ নির্ধারণ

কথা ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষেই বোর্ড সভায় বসবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত সেই বোর্ড সভা আলোচনার টেবিলে গড়ায়নি। কবে নাগাদ হবে সেটিও ছিল অজানা। অবশেষে জানা আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিসিবির পরিচালকদের বোর্ড মিটিং।
বিসিবির অন্য যেকোনো সভার তুলনায় এবারের সভা কিছুটা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। বোর্ড সভায় আলোচনার জন্য ঝুলে আছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে। যেমন নির্বাচক প্যানেল, বিশ্বকাপ তদন্ত রিপোর্ট, সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্ব, নতুন কোচ নিয়োগ। এছাড়া তামিম ইকবালের জাতীয় দলে ফেরা কিংবা না ফেরার সিদ্ধান্তও হতে পারে এই সভা থেকেই।

এই বোর্ড সভার পেছনে বিসিবির নিজেরও তাড়া রয়েছে। কদিন আগেই ক্রিকেট অপরারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছিলেন, 'কিছু বিষয় আছে আমাদের, এজেন্ডা তো অবশ্যই আছে। মিটিংটা অনেকদিন হচ্ছে না, মিটিং হওয়া দরকার কারণ অনেক রেগুলার কিছু ইস্যু থাকে যে গুলো বোর্ডে অনুমোদন লাগে।'
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার সমস্যা দেখার জন্য যে কমিটি করেছিল বিসিবি, সেই রিপোর্টও তৈরী করে ফেলেছে তদন্ত কমিটি। সবমিলিয়ে বেশ বড় সিদ্ধান্তই আসতে পারে বিসিবির এই বোর্ড মিটিংয়ে। এর আগে সবশেষ বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৬ মাস আগে।
বিসিবির এই বোর্ড সভা নিয়ে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের মাঝে গুঞ্জনের শেষ নেই। অনেকেরই মতে, এই সভার পরেই নির্বাচক হিসেবে ইতি ঘটতে পারে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু প্যানেলের। তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান ইস্যুতেও সমাধান খুঁজতে মরিয়া বিসিবি। বিশেষ করে তামিম ইকবাল নিজের সিদ্ধান্ত নির্বাচনের পরে জানাবেন বলেই ঠিক করে রেখেছিলেন।
সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপের আগেই জানিয়েছিলেন, অধিনায়কের পদে আর থাকতে চান না তিনি। বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে টেস্ট আর নিউজিল্যান্ডের মাঠে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজটা বাংলাদেশ পার করেছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কে ভর করে। সেই বিষয়টিও নিষ্পত্তি হতে পারে।
এছাড়া আজ ব্যাটিং এবং পেস বোলিং কোচের ইন্টারভিউ রয়েছে। ফাঁকা আছে স্পিন কোচের পদ। সেসব বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে এবারের বোর্ড সভা থেকে।
এসএইচ/জেএ