ফিফা থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবি ইরানের
ফিলিস্তিনে অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে গত সত্তরের দশকে আরব মুসলিম দেশগুলোর আপত্তিতে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) থেকে বাদ দেওয়া হয় ইসরায়েলকে। এরপর থেকে খেলতে শুরু করে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফার অধীনে। ফিফার টুর্নামেন্টগুলোতেও তাদের অংশগ্রহণ অব্যাহত ছিল। তবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি থেকেও ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ইরান।
গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ ও গণহত্যার প্রতিবাদে ফিফার কাছে ইরান ফুটবল ফেডারেশন আজ (শনিবার) এ দাবি জানিয়েছে। ইসরায়েল ফুটবল ফেডারেশনকে ‘ফুটবল থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার’ দাবি তুলেছে ইরান। কেবল ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করাই নয়, ইরান ফিফার সদস্য দেশগুলোকে ফিলিস্তিনে খাবার, পানীয়, ওষুধ ও চিকিৎসা–সরঞ্জাম পাঠানোর আবেদনও করেছে।
ইসরায়েলকে ফিফায় নিষিদ্ধ করার দাবি কেবল ইরানই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের আরও ১২টি দেশ একই দাবিতে ফিফাকে চিঠি দিয়েছে বলে খবরে জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার স্কাই নিউজ খবর দিয়েছিল, মধ্যপ্রাচ্যের ১২টি দেশের ফুটবল সংস্থার ফিফার কাছে দেওয়া ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবিসংবলিত চিঠি তাদের হাতে আছে।
— IRNA News Agency (@IrnaEnglish) February 10, 2024
ইরান ফুটবল ফেডারেশনের চিঠিতে আরও বলা হয়, সন্দেহাতীতভাবে ফিফা ও ফুটবল সংস্থাগুলো যদি তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে, তাহলে সেটি হবে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত।
২০২১ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইরানি অ্যাথলেটদের পদকের জন্য ইসরায়েলি অ্যাথলেটদের সঙ্গে করমর্দন না করতে অনুরোধ করেন। তবুও গত বছরের আগস্টে পোল্যান্ডে এক কুস্তি প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলি প্রতিযোগীর সঙ্গে করমর্দন করে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছেন ইরানি কুস্তিগির মোস্তফা রাজায়েই। ইসরায়েলকে চরম শত্রু ভাবা ইরানের অ্যাথলেটদের ব্যক্তিগত খেলাধুলাতেও ইসরায়েলিদের সঙ্গে খেলায় নিষেধাজ্ঞা আছে।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে সর্বশেষ আক্রমণের সূচনা করে হামাস। ইসরায়েলে ১ হাজার ১৬০ জন নিহত হওয়ার পর পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে দেশটি। ‘হামাস নির্মূলে’ ইসরায়েলের সেই আক্রমণে এ পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এএফসি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল ইসরায়েল। এরপর তারা এশিয়ান কাপের প্রথম তিনটি আসরেই ফাইনাল খেলেছিল। মহাদেশীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসরটিতে ১৯৬৪ সালে চ্যাম্পিয়নও হয় ইসরায়েল। এরপর মুসলিম দেশগুলোর আপত্তিতে তাদের এএফসি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
এএইচএস