বাল্যবিবাহ রোধে বাফুফে-ইউনিসেফ জোট

মাস দুই আগে সম্ভাবনাময় এক নারী ফুটবলারের বাল্য বিবাহ হয়। এনিয়ে সমগ্র দেশেই বেশ আলোচনা হয়েছিল। শিশুদের নিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ইউনিসেফের চুক্তি রয়েছে। ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন ছাড়াও নারী ফুটবলারদের সচেতনতার ক্ষেত্রেও ইউনিসেফ বড় ভূমিকা রাখছে।
চলমান লকডাউনে গ্রামীণ সমাজে বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে। বিয়ের মধ্যে আবার বাল্য বিবাহের সংখ্যাই বেশি। লকডাউনের মধ্যেই আজ (বুধবার) দুপুরে বাফুফে ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাফুফে ভবনে ক্যাম্পে থাকা নারী ফুটবলাররা অংশ নেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত থাকা কোচরাও অনলাইন সভায় যুক্ত ছিলেন।
বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমরা মহিলা ফুটবলের উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজ বিনির্মাণে কাজ করছি। নারীরা উন্নয়নের হাতিয়ার। আমাদের মেয়েরা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এসেছে। ফুটবলের মাধ্যমে তার ও পরিবারের সামাজিক অবস্থা পরিবর্তন করা সম্ভব এটা আমরা বোঝাচ্ছি।’
নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও ছিলেন এই সভায়। আজকের সভাটি বেশ কার্যকরী হয়েছে বলে মনে করেন তিনি, ‘আমাদের ক্যাম্পে নারী ফুটবলার ছাড়াও তৃণমূলের কোচরা ছিলেন। তারা বিভিন্ন জেলায় নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করেন। ইউনিসেফের কর্মকর্তাদের যৌক্তিক ও বাস্তবিক বক্তব্য তারা অনুধাবন করে তৃণমূল পর্যায়ে নারী ফুটবলারদের ও তাদের পরিবারকে বাল্য বিবাহ রোধে কাজ করতে পারবে।’
দরিদ্র পরিবার মূলত আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও মেয়েদের বিয়ে দিতে পারলেই দায়মুক্ত মনে করে। নারী ফুটবলাররা ইতোমধ্যে অর্থ উপার্জন করে এবং সামাজিক অবস্থান বৃদ্ধি করে পরিবারের সেই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছে। ইউনিসেফের কর্মকর্তারা নারী ফুটবলারদের বাল্য বিবাহ রোধে তাদের সাথে হেল্প লাইন নাম্বারে যোগাযোগের পরামর্শও দিয়েছে।
এজেড/এমএইচ