না ফেরার দেশে কিংবদন্তি প্রোটিয়া অলরাউন্ডার
৭৭ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি অলরাউন্ডার মাইক প্রক্টর। তার হৃদযন্ত্রে সার্জারির পর তিনি বেশ কয়েকদিন মৃত্যুশয্যায় ছিলেন। এরপর গতকাল (শনিবার) প্রক্টর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী মারিয়ানা। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি প্রক্টরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত হলেও, টেস্টে গ্রেটদের একজন ধরা হয় মাইক প্রক্টরকে। ক্রিকেট থেকে দশ বছর দক্ষিণ আফ্রিকা নির্বাসনে থাকায় মূলত তার ক্যারিয়ার লম্বা হয়নি। বর্ণবাদের কারণে প্রোটিয়া দল ১৯৭০-৮০ সাল পর্যন্ত নির্বাসনে ছিল। এর আগে প্রক্টর মাত্র ৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন, যার সবই ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১৫.০২ গড়ে তিনি ৪১ উইকেট শিকার করেছিলেন।
— ICC (@ICC) February 18, 2024
ব্যতিক্রমী বোলিং অ্যাকশনের জন্য পরিচিত ছিলেন প্রক্টর। বুক বরাবর হাত উঠিয়ে খুব দ্রুত বল ডেলিভারি করতেন তিনি। তার খেলা সাত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অপরাজেয় ছিল। যার মধ্যে প্রোটিয়ারা ৬ টেস্টই জিতেছে। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতেও কব্জির দেখাতেন প্রক্টর। অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে ৪-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের সিরিজে মূল রান আসে তার ব্যাটে। যার কারণে বিখ্যাত ক্রীড়া সাময়িকী উইজডেন ১৯৭০–এর বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত করে তাকে।
আরও পড়ুন
কেবল কোচই নন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রত্যাবর্তনের পর প্রক্টর কোচের দায়িত্ব পান। যার অধীনে ১৯৯২ বিশ্বকাপে প্রোটিয়ারা সেমিফাইনালও খেলেছিল। এরপর ২০০২ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে আইসিসি ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এছাড়া সাবেক এই প্রোটিয়া কিংবদন্তিকে ধারাভাষ্য বক্সেও এক সময় নিয়মিত দেখা যেত। নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে মাত্র ৪ বছরে স্থায়ী হয় প্রক্টরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার। এর আগে তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ছিল বেশ সমৃদ্ধ। পেস অলরাউন্ডার প্রক্টরের ২১৯৩৬ রানের সঙ্গে দখলে ছিল ১৪১৭ টি উইকেট।
এএইচএস