কেন কলকাতার একাদশ থেকে বাদ পড়লেন সাকিব?

নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে ছাড়পত্র দেওয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে না চাওয়া নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল অনেক। শেষ পর্যন্ত সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে ঠিকই আইপিএল খেলতে যান সাকিব।
তবে সেখানে গিয়েও থামেনি বিতর্কের রেশ। কলকাতা নাইট রাইডার্স একাদশে সাকিব সুযোগ পাবেন কি না, এই নিয়ে চলেছে আলোচনা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সাকিবেই আস্থা রাখে কলকাতা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাকে একাদশে রাখে দলটি।
ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫ বলে ৩ রান করে আউট হয়ে গেলেও বল হাতে বেশ ভালো করেন সাকিব। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে বোল্ড করেন ঋদ্ধিমান সাহাকে। হায়দারাবাদের বিপক্ষে ১০ রানের জয় পায় তার দলও।
এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন সাকিব। ৯ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তবে বল হাতে ঠিকই নিজেকে চেনান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে এক উইকেট নেন সাকিব। যদিও ওই ম্যাচে হেরে যায় তার দল।
সাকিব মূলত বাদ পড়েছেন তৃতীয় ম্যাচে তার পারফরম্যান্সের কারণে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে যখন চেপে ধরেছিল কলকাতা। তখনই সাকিবকে আক্রমণে আনেন কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মরগান। কিন্তু দুই ওভারেই সাকিব দিয়ে দেন ২৪ রান।এরপর আর তাকে বোলিংয়েই আনেননি মরগান।
ব্যাট হাতে সাকিবকে ছয় নম্বরে নামায় কলকাতা। কিন্তু দলের যখন ওভার প্রতি ১০ এর বেশি রান দরকার, তখনই ২৫ বলে ২৬ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন সাকিব। এই ম্যাচের পরই কলকাতার হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিবের বাদ পড়ার।
শেষ পর্যন্ত সেটিই হয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে এবারের আইপিএলে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে সাকিবকে একাদশে রাখেনি কলকাতা। তার জায়গায় প্রথমবারের মতো সুনীল নারিনকে একাদশে জায়গা দিয়েছে কেকেআর।
এমএইচ