সুয়ারেজ জেতালেন অ্যাটলেটিকোকে, রিয়ালের ড্র

বছরের শেষ ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ লুই সুয়ারেজের একমাত্র গোলে হারিয়েছে গেটাফেকে। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ কাটা পড়েছে ড্রয়ের খড়গে। এলচের মাঠে ১-১ গোলে ড্রয়ে ২০২০ সালটা শেষ করেছে কোচ জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
গেটাফের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে শুরু থেকেই অ্যাটলেটিকো ছিলো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে। ১৫ মিনিটে থমাস লেমারের শট পোস্টে প্রতিহত না হলে হয়তো এগিয়ে যেত তখনই। সেটা না হলেও গোলের অপেক্ষা খুব একটা করতে হয়নি কোচ দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যদের। ২০ মিনিটে ফেরেইরা কারাসকোর ফ্রি কিকে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন সুয়ারেজ।
এর মিনিট ছয়েক পর অবশ্য উরুগুইয়ান এই ফরোয়ার্ড ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সে যাত্রায় কর্নার থেকে ফাঁকায় দাঁড়িয়েও গোলের দেখা পাননি তিনি।
খেসারতটা দিতে দিতেও দেয়নি অ্যাটলেটিকো। ৩৫ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে বাড়ানো বলে আনহেল রদ্রিগেজ গোলপানে শট নিলেও তা গোলরক্ষক ইয়ান অবলাককে তেমন সমস্যায় ফেলতেই পারেনি। মিনিট দুয়েক পর কর্নার থেকে সুযোগ পেলেও গেটাফে সুযোগটা কাজেই লাগাতে পারেনি।
এক গোলের অগ্রগামিতা ঝুঁকিপূর্ণ সবসময়। তবে দলটা যখন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, তখন এক গোলে এগিয়ে থাকাটাও নিরাপদই। চলতি মৌসুমে লিগে মোটে ৫ গোল হজম করা দলটা এরপর গেটাফের আক্রমণ একনাগাড়ে রুখেই গেছে। তাতে ১-০ ব্যবধানের রিয়ালের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে দুই পয়েন্টে এগিয়েও যায় সিমিওনের শিষ্যরা।
এদিকে রিয়াল মাদ্রিদও এগিয়ে গিয়েছিলো নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মতো ম্যাচের ২০ মিনিটেই। মার্কো অ্যাসেন্সিওর দূরপাল্লার শট ঠেকান এলচে গোলরক্ষক, ফিরতি সুযোগে লুকা মদ্রিচের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল, বিরতিতে যায় এগিয়ে থেকে।
রিয়ালের বিপত্তির শুরু দ্বিতীয়ার্ধে। নিজেদের বিপদসীমায় দানি কারভাহাল টেনে ফেলে দেন আন্তনিও বারাগানকে, পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে স্বাগতিক এলচেকে সমতায় ফেরান ফিদেল।
রিয়াল হারতেও পারতো, ৬৩ মিনিটে লুকাসের শট যদি বারে প্রতিহত না হতো! সুযোগ অবশ্য পেয়েছে লা লিগা শিরোপাধারীরাও। রামোস আর কারভাহালের শট ঠেকিয়ে রিয়ালের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান এলচে গোলরক্ষক। ১-১ ড্রয়ে বাধ্য হয়ে রিয়াল ১৬ ম্যাচে পেয়েছে ৩৩ পয়েন্ট, আছে লিগের দ্বিতীয় অবস্থানে। আর অ্যাটলেটিকো ১৪ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। তিনে থাকা সোসিয়েদাদ থেকে অবশ্য নিরাপদ দূরত্বে আছে রিয়াল। ১৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট পেয়েছে দলটি। সেভিয়া আর ভিয়ারিয়ালও অর্জন করেছে ২৬ পয়েন্ট। আর বার্সেলোনা এদের চেয়ে এক পয়েন্ট কম নিয়ে আছে লিগের ষষ্ঠ অবস্থানে।
এনইউ