ক্রাইস্টচার্চে রোমাঞ্চের অপেক্ষা
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার আরও ২০২ রান এবং নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৬ উইকেট। স্কোরবোর্ডে যখন এই অবস্থা, কিউইদেরই এগিয়ে রাখা যায় অনায়াসে। তবে ইতিহাস পক্ষে পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
১৯৯৩ সালের নভেম্বর থেকে এই টেস্টের আগ পর্যন্ত খেলা ৩২ ম্যাচের ২৪টিতেই হেরে গেছে নিউজিল্যান্ড। জয় পেয়েছে মাত্র একটি। সেটাও ২০১১ সালের ডিসেম্বরে। ক্রাইস্টচার্চে তাদের ভাগ্য বদলাবে কি না সেটি সময়ের অপেক্ষা। অন্যদিকে, উইকেটে আছেন ছন্দে থাকা দুই ব্যাটার মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেড। দুজনে টিকে গেলে যে কোনো কিছুই হতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৭৯ রানের টার্গেটে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ৭৭ রান তুলেছে অজি বাহিনী। ৩৯ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত আছেন হেড। এ ছাড়া মিচেল মার্শ টিকে আছেন ২৭ বলে ২৭ রানে।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৩৪ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। দিন শেষে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ৪০ রানে এগিয়ে ছিল কিউইরা। টম লাথাম ৬৫ এবং রাচিন রবীন্দ্র ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ মাত্র ৮ রান তুলে তৃতীয় দিন প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন লাথাম। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের শিকার হওয়ার আগে ৮টি চারে ১৬৮ বলে ৭৩ রান করেন কিউই ব্যাটার। লাথাম ফেরার পর শতরানের জুটি গড়েন নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে রাখেন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল। কিন্তু মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন রবীন্দ্র ও মিচেল। দলীয় ২৭৮ রানে মিচেলকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন পেসার জস হ্যাজলউড। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৮ রান করেন মিচেল। এরপর ১৫৩ বলে ১০টি চারে ৮২ রান করা রবীন্দ্রকে বিদায় করেন কামিন্স।
জোড়া আঘাতের পরপই ৯ রানে আউট হন নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলও। এতে ২৬৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। এ অবস্থায় সপ্তম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গ্লেন ফিলিপস ও স্কট কুগেলিজন। জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরির জুটির পর থামতে হয় তাদের। ১৬ রান করে স্পিনার নাথান লায়নের শিকার হন ফিলিপস। শেষ ব্যাটার হিসেবে কুগেলিজনকে আউট করে নিউজিল্যান্ডকে ৩৭২ রানে থামিয়ে দেন লায়ন। এতে অস্ট্রেলিয়াকে ২৭৯ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৯ বলে ৪৪ রান করেন কুগেলিজন। অস্ট্রেলিয়ার কামিন্স ৪টি ও লায়ন ৩টি উইকেট নেন।
জবাবে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ডের দুই পেসার ম্যাট হেনরি ও বেন সিয়ার্সের তোপের মুখে পড়ে ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথকে ৯ ও উসমান খাজাকে ১১ রানে আউট করেন প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া হেনরি। মারনাশ লাবুশেন ৬ ও ক্যামেরুন গ্রিনকে ৫ রানে বিদায় দেন সিয়ার্স।
পঞ্চম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পতন ঠেকান ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। ৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিনের খেলা শেষ করেন তারা। হেড ১৭ ও মার্শ ২৭ রানে অপরাজিত। নিউজিল্যান্ডের হেনরি ও সিয়ার্স ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এফআই