‘বাংলাদেশ নাম্বার ওয়ান’
ক্রীড়াঙ্গনের ব্যক্তিবর্গের বিমানবন্দরে যাতায়াত নিয়মিত। কোনো খেলার কেউ দেশে ফিরছেন তো, আবার কেউ বাইরে খেলতে যাচ্ছেন। এমন আসা-যাওয়ার মধ্যে সুখস্মৃতি হয় খুব কম। আজ দুপুরের পর কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশ অ-১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিমানবন্দরে সুন্দর মুহূর্তের উপহার দিয়েছে।
বাফুফের নারী কমিটির অনেকেই বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন প্রীতিদের অভ্যর্থনা জানাতে। কেউ ফুলের মালা, কেউ মিস্টি মুখ করিয়েছেন সাফ জয়ী নারীদের। বাফুফের নারী ফুটবল নিয়ে এক দশকের বেশি সময় কাজ করছেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। বিমানবন্দরে তিনি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশ নাম্বার ওয়ান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি,‘সাফের দু’টি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ টানা চ্যাম্পিয়ন। সিনিয়র সাফেও আমরা চ্যাম্পিয়ন। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশ নাম্বার ওয়ান।’
নারী ফুটবলারদের এই অর্জনকে কিরণ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন,‘সম্মিলিত টিম ওয়ার্কে আমাদের এই সাফল্য। মেয়েরা মাঠে যেমন কষ্ট করে। তাদের সঙ্গে প্রত্যেক কোচিং স্টাফের নিরলস পরিশ্রম এবং আমাদেরও প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই সাফল্য।’
নারী ফুটবলে কোচ হিসেবে কাজ করছেন সাইফুল বারী টিটু। নিজে জাতীয় ফুটবল দলে খেলেছেন। কোচিং করিয়েছেন একাধিকবার। দেশের ফুটবলে অন্যতম শীর্ষ কোচ নারী দলে কাজ করা একটু বিশেষ ধরন বলে আখ্যায়িত করলেন,‘মেয়েদের জন্য আলাদা ফিলিংস থাকে পুরো দেশবাসীরই। যা কাজ করতে অনেক সহায়ক করে আমাদের।’
অনুর্ধ্ব ১৬ দলের অনেক নারী ফুটবলারই প্রথম বারের মতো বিদেশ সফর করেছেন। অনেকেরই দেশের জার্সিতে প্রথম খেলা। এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও শিরোপা জয় সম্পর্কে বলেন,‘অনুর্ধ্ব ১৬ মানে প্রতিদ্ব›িদ্বতার পর্যায়ে মাত্র প্রবেশ করা। প্রথমবার তারা বিদেশ ও জাতীয় দলে খেললেও তারা সর্বোচ্চ এফোর্ট দিয়েছে। যা অত্যন্ত সন্তোষজনক। তারা মাঠে লড়েছে বাইরে ফেডারেশনের সভাপতি থেকে শুরু করে সবাই সহযোগিতা করেছে।’
ফাইনাল মানেই স্নায়ুচাপের লড়াই। অ-১৯ ও ১৬ দুই টুর্নামেন্টেই খানিকটা স্নায়ুচাপ ছিল ফুটবলারদের। সেটা নিরসনের চেষ্টা করেছেন কোচ,‘ অনেক সময় অনেকে প্রেশার নিতে পারে না। দু’টি ফাইনালেই আমরা প্রথমার্ধে ভালো খেলতে পারিনি। ফাইনালও অন্য ম্যাচের মতোই একটি বলে স্নায়ুচাপ কাটানোর চেষ্টা করেছি।’
এজেড/