ক্যান্সার আক্রান্ত ব্রাদার্সের সেলিমের অস্ত্রোপচার

বাংলাদেশের ফুটবলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ অর্জন- ১৯৮০ সালের এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলা। কুয়েতে অনুষ্ঠিত সেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন শহিদ উদ্দিন আহমেদ সেলিম। জাতীয় দলের অধিনায়কত্বের পরবর্তীতে কোচও হয়েছেন। তবে সেলিমের মূল পরিচয় ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের পুনর্জন্মের মহানায়ক শহিদ উদ্দিন আহমেদ সেলিম। স্বাধীনতার পর রামকৃষ্ণ মিশনে তাদে বাড়িতে ব্রাদার্সের ক্যাম্প হতো। এর বিনিময়ে কোনো পয়সাও নেয়নি তার পরিবার। ১৯৭২ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে গফুর বেলুচ ও ওয়াসিমদের মতো প্রতিভাবান ফুটবলারদের সংগ্রহ করে খেলোয়াড়, অধিনায়ক ও সংগঠক হিসেবে ব্রাদার্স ইউনিয়ন পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন সেলিম।
সেই সেলিম এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে। শনিবার আসগর আলী হাসপতালে সাবেক এই তারকা ডিফেন্ডারের দাঁতের মাড়িতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেলিমের বোনকে বিয়ে করেছেন ব্রাদার্সের আরেক সাবেক তারকা ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা ও ক্যান্সারের প্রথম স্টেজ ধরা পড়ল। এরপরই তাকে অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নেয়া।’ সেলিম প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সাইফুদ্দিন মানিকের আপন ভাই। তাদের পরিবারে বড় মাপের চিকিৎসক কয়েকজন। বাসার কাছে আজগর আলী হাসপাতাল থাকায় সেখানেই অস্ত্রোপচাররের সিদ্ধান্ত হয়৷ পাঁচ জন পুর্নাঙ্গ অধ্যাপক চিকিৎসকের বোর্ড সেলিমের অস্ত্রোপচার পরিচালনা করছেন।
সেলিম গত পাঁচ বছর যাবত ধার্মিক জীবনযাপন করছিলেন। অতিরিক্ত পান খাওয়ার অভ্যাস মুখের ক্যান্সারের কারণ হিসেবে মনে করেন বাবলু, ‘পরিবারের মানা সত্ত্বেও সে অনেক পান খেত। মাঝে মধ্যে গুল ব্যবহার করতো। হয়তো এই কারণেই আজ এ পরিণতি।’
১৯৯৪-২০০৯ পর্যন্ত ব্রাদার্স ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সেলিম। ২০১০ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত গোপীবাগের ক্লাবটির সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন সেলিম। আজ সেলিমের কষ্টের দিনে ব্রাদার্সের বর্তমান নেতৃ বৃন্দ পাশে না থাকায় খানিকটা আক্ষেপ বাবলুর, ‘জীবনে সব সময় ফুটবল এবং ব্রাদার্স ইউনিয়নের উন্নতির জন্যই সময় ব্যয় করেছে সেলিম। অথচ আজ হাসপাতালে ক্যান্সারের অস্ত্রোপচার সময় পাশে নেই ক্লাবের অনেকে।’ অবশ্য সেলিমের জন্য দোয়া কামনা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাফুফে।
এজেড/এটি