১৫০৫ খেলোয়াড়ের জন্য বিকেএসপির বীমা
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের আতুড়ঘর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। ক্রীড়াঙ্গনের বিশেষায়িত এই প্রতিষ্ঠানটি এবার যুগান্তরকারী একটি উদ্যোগ নিয়েছে। ১৫০৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য এক বছরের বীমা করেছে বিকেএসপি। আজ (বুধবার) দুপুরে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সঙ্গে বিকেএসপির এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বিকেএসপির মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের জানিয়েছেন, ‘আমাদের সঙ্গে চুক্তিটি আপাতত এক বছরের জন্য। এক বছর পর এটি নবায়নযোগ্য। এই চুক্তির মাধ্যমে বিকেএসপির শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত উপকৃত হবে। এক বছর পর চুক্তি নবায়নকালে আমরা শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কোচ ও অন্যদেরও বীমার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।’
বিকেএসপিকে প্রতি শিক্ষার্থীর মাথাপিছু প্রায় তিন হাজার তিনশ টাকা প্রদান করতে হবে বীমা কোম্পানিকে। এই সময়ের মধ্যে যদি কোনো খেলোয়াড় আহত বা চিকিৎসাজনিত প্রয়োজন না হয়, তাহলে প্রদানকৃত প্রিমিয়ারের ৮০ শতাংশ ফেরত পাবে বিকেএসপি। বীমা কোম্পানির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার পরিসেবা সম্পর্কে বিকেএসপির ডিজি বলেন, ‘৮০ শতাংশ খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে ৩ লাখ এবং ২০ শতাংশ খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে ৬ লাখ টাকা চিকিৎসা ব্যয় প্রদান করবে বীমা কোম্পানি। কোন কোন হাসপাতালে আমরা চিকিৎসা গ্রহণ করব সেটাও দুই পক্ষের চুক্তিতে রয়েছে।’
ফুটবল, ক্রিকেট,হকি, বাস্কেটবল, জিমন্যাস্টিক্স, টিটি, ব্যাডমিন্টন, শ্যুটিং–সহ আরও অনেক ডিসিপ্লিনে বিকেএসপিতে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। অনুশীলন এবং বিকেএসপির হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে গিয়ে আহত হন অনেকে। বীমা না থাকার ফলে বিকেএসপি সেই সকল খেলোয়াড়দের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে পারেনি এতদিন। ফলে স্বল্প আয়ের অভিভাবকদের ঘাড়েই পড়তো সেই ব্যয়। অনেক অস্বচ্ছল পরিবার সেই ব্যয় বহন না করতে পারায় সন্তানের বড় ক্রীড়াবিদ হওয়ার স্বপ্নের অপমৃত্যুও হয়েছে।
এজেড/এএইচএস