আবাহনী-মেরিনার্সের ক্যাম্প ক্লোজড, খেলোয়াড়রা মোহামেডানে
১৯ এপ্রিল শেষ হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লিগ। আবাহনী-মোহামেডানের ঘটনাবহুল ফাইনালের রেশ এখনো কাটেনি। হকি ফেডারেশনও প্লে অফের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে। শীর্ষ পয়েন্টধারী দুই ক্লাব আবাহনী ও মেরিনার্স তাদের ক্যাম্প সমাপ্ত করেছে। আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানে এখনো অবস্থান করছেন খেলোয়াড়রা।
সাধারণত হকি লিগে শেষ ম্যাচের দিনই অথবা পরের দিন ক্লাবগুলো ক্যাম্প ক্লোজড করে। ফুটবল, ক্রিকেটে ক্লাবগুলো অনেক বিনিয়োগ করলেও হকিতে এসে যেন কৃচ্ছতার নীতি। ফুটবল, ক্রিকেট ও হকি দেশের তিন শীর্ষ খেলাতেই দেশি খেলোয়াড়রা পুরো পারিশ্রমিক যথাসময়ে খুব কমই বকেয়া পান। চুক্তির নির্ধারিত অর্থ বাকি রাখা যেন ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনে অলিখিত নিয়ম। তবে মোহামেডানের হকি সেই ধারায় নয় বলে মন্তব্য ম্যানেজারের, 'হকিতে পারিশ্রমিক এমনিতেই কম অন্য খেলার তুলনায়। তাই আমাদের ক্লাব শতভাগ পারিশ্রমিক প্রদান করে খেলোয়াড়দের। দেশি খেলোয়াড়দের দশ শতাংশের মতো বাকি রয়েছে। যা আগামীকালের মধ্যে প্রদান করা হবে এজন্য অনেকে ক্লাবে রয়েছেন।’
দেশি খেলোয়াড়দের পাওনা কম হলেও বিদেশিদের ক্লাবের কাছে বকেয়া অনেক। পঞ্চাশ শতাংশ অর্থ না পেয়েই তারা নিজ দেশে ফিরে গেছেন শুধু সম্পর্কের খাতিরে। বিদেশিদের এই সপ্তাহের মধ্যেই পারিশ্রমিক প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক্লাবটি।
হকি লিগ মানেই নানা অনিয়ম ও ঘটনা। ফেডারেশন যেমন নানা অদক্ষতার পরিচয় দেয়, এবার ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানও অনেক ঘটনার জন্ম দিয়েছে। তারা আম্পায়ারিং ও লিগের অনিয়ম নিয়ে ফেডারেশনের সমালোচনা করলেও নিজেরাই নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে বারবার।
এজেড/এইচজেএস