সাকিবের অনুপস্থিতি বাড়তি ভাবনায় ফেলেছে বাংলাদেশ দলকে

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার জন্য ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের না থাকা বাংলাদেশ দলে শূন্যতা তৈরি করেছে। সাকিব থাকলে ব্যাটে-বলে সমানভাবে অবদান রাখেন। তার পরিবর্তে আলাদা দুজন ক্রিকেটারকে খেলাতে হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। সেখানে সাকিবের অনুপস্থিতি বাড়তি ভাবনায় ফেলেছে টাইগার টিম ম্যানেজম্যান্টকে।
আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের একাদশ কেমন হবে, আগের ম্যাচে ৬ ব্যাটসম্যান ও ৫ বোলারের পথে হেঁটেছিল দল, দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা? ম্যাচের আগে আজ (বুধবার) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো সাকিবের শূন্যতা সামনে আনেন।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমাকে এটা নিয়ে (একাদশ নির্বাচন) নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তবে এটা ঠিক আমাদের সামনে এখন এ পথটাই খোলা আছে। সাকিব থাকলে আমরা হয়তো সাতজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতাম। সাকিব ওভারগুলো বাড়তি কাজে দিত। কিন্তু এখন এই সুবিধাটা না থাকায় আমাদের সাহসী হতে হবে। ৫ বোলার নিয়ে খেলতে হবে যেন তারা ২০ উইকেট এনে দিতে পারে। এই বিষয়ে আমার নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’
প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ পেসার খেলিয়েছে বাংলাদেশ দল। তবে খুব বেশি সুফল পাওয়া যায়নি। একমাত্র তাসকিন আহমেদই যা একটু প্রতিরোধ গড়েছেন, বাকিরা ছিলেন অনেকটাই নিষ্প্রভ। দ্বিতীয় টেস্টেও কি তিন পেসার খেলাবে দল?
ডমিঙ্গো জানান, ‘অবশ্যই, ওরা তিনজনই এখন আমাদের প্রথম সারির পেসার। এছাড়া শরিফুল নেটে খুব ভাল কাজ দেখিয়েছে। আমি চাই এই তিনজনকেই এই টেস্টে খেলাতে। কিন্তু আগে যেমনটা বললাম, দেখতে চাই ওরা এই গরমে টানা বোলিংয়ের চাপটা কতটা নিতে পারছে। গত টেস্টে যেমন তাসকিন ২৫ ওভার করেছে, এবাদত ২০ এর মতো, রাহিও ১৫ ওভারের মতো বল করেছে। আমাকে দেখতে হবে সামনের টেস্টে তারা শতভাগ দিতে পারবে কি না। আমরা এখনও শেষ সিদ্ধান্তটা নিইনি, তবে চেষ্টা করব ওরা তিনজনই যেন খেলতে পারে।’
টিআইএস/জেএস