ভারতকে দেখিয়ে ইউরোপকে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ইউরোপের দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনার বিস্তার ঠেকাতে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে আরোপিত বিধিনিষেধ হুট করে তুলে নেওয়া হলে ইউরোপও ভারতের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে পারে।
ইউরোপের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান হান্স ক্লুগ বৃহস্পতিবার এএফপিকে বলেন, আগের চেয়ে বেশি সংক্রামক একটি ভ্যারিয়েন্ট যখন ভাইরাসের বিস্তার ঘটাচ্ছে এবং টিকাদানের গতিও বেশ মন্থর- এমন পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হলে, যেকোনো দেশে ‘ঝড়ের বেগে’ বাড়তে থাকবে আক্রান্তের সংখ্যা।
তিনি আরও বলেন, এটা বোঝা খুবই জরুরি যে ভারতের মতো ঘটনা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে এর অন্যতম কারণ হলো বিভিন্ন কারণে বহু মানুষের এক জায়গায় জড়ো হওয়া। এছাড়া ভারতে করোনার দ্বিতীয় এই ঢেউয়ের জন্য ভারতীয় একটি ধরনও দায়ী বলে মনে করেন তারা। তবে ভারতীয় এ ধরনটা করোনা ভাইরাসের অন্যান্য ধরনের চেয়ে বেশি সংক্রামক কি-না সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
হান্স ক্লুগ বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে খেয়াল রাখতে হবে যে, ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা গেলে তা মহামারির পথ পরিবর্তনের কারণ হতে পারে। তিনি বলেন, গত দুই মাসে প্রথমবারের মতো ইউরোপে করোনা সংক্রমণের ঘটনা গত সপ্তাহে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, কিন্তু অনেক এলাকায় সংক্রমণের হার এখনও বেশি।
তিনি বলেন, মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপের সক্ষমতাও ভালো। এ অঞ্চলের প্রায় সাত শতাংশ এরইমধ্যে করোনা ভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, আর ১৬ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
সম্প্রতি, কিছু ইউরোপীয় দেশ বলেছে যে তারা কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পর্যায়ক্রমে শিথিল করা শুরু করবে।
ফ্রান্স বলেছে যে তারা ১৯ মে থেকে করোনার বিস্তার রোধে আরোপিত লকডাউন তুলে দেওয়া শুরু করবে এবং ৯ জুন থেকে শর্তসাপেক্ষে দেশটিতে পর্যটকদের ঢোকার অনুমতি মিলবে। ১৯ মে থেকে রেস্তোঁরা, বার, থিয়েটার খোলার অনুমতিও দেওয়া হবে।
জার্মানিও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
এনএফ