টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কখনও এতবার এরকম ঘটনা ঘটেনি

টি-টোয়েন্টি মানেই যে রানের ফোয়ারা ছুটবে, আইপিএলের পরে সেই ধারণা পালটে দিয়েছে বিশ্বকাপ। আইপিএলে যেখানে প্রায় নিয়মিত রানের রেকর্ড হচ্ছিল, সেখানে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১২০ রান তুলতে গিয়েই বেগ পেতে হয়েছে বিশ্বের সেরা দলগুলোকেও। বিশেষত যে দলগুলো আমেরিকায় খেলেছে, তাদের তো রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আর সেই রানের খরার মধ্যেই ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটা নতুন নজির তৈরি হয়েছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো সংস্করণে এত সংখ্যক বার ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার নজির ছিল না। সুপার এইটের খেলা শুরু হওয়ার আগেই ১২ বার ১০০ রানের কমেই অলআউট হয়ে যাওয়ায় এবারের আসরে তৈরি হয়েছে নতুন নজির।
এর আগে ২০০৭ সালে ২ বার, ২০০৯ সালে ৩ বার, ২০১০ সালে ৪ বার, ২০১২ সালে ২ বার, ২০১৪ সালে ৭ বার, ২০১৬ সালে ২ বার, ২০২১ সালে ৮ বার ও ২০২২ সালে ১ বার অংশগ্রহণকারী দলগুলো ১০০- রানের নিচে অলআউট হয়ে যায়।
পিচের কারণে এবার রানের খরা হলেও ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়ে যাওয়ার যে নজির তৈরি হয়েছে, তার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আসলে এবার বিশ্বকাপে মোট ২০টি দেশ খেলেছে। মানের নিরিখে দেশগুলোর মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে। কয়েকটি দেশ একদম সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলে। আর কয়েকটি দেশে ক্রিকেটের মান ততটাও ভালো নয়। ফলে প্রথমসারির দলের সামনে পড়ে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হচ্ছে আইসিসির সহযোগী দেশগুলোকে।
২০২৪ সালের বিশ্বকাপে কোন কোন দল ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে?
# শ্রীলঙ্কা: ৭৭ রান (বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা), # উগান্ডা : ৫৮ রান (বনাম আফগানিস্তান), # আয়ারল্যান্ড : ৯৬ রান (বনাম ভারত), # পাপুয়া নিউগিনি : ৭৭ রান (বনাম উগান্ডা), # উগান্ডা : ৩৯ রান (বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ), # নামিবিয়া : ৭২ রান (বনাম অস্ট্রেলিয়া), # ওমান : ৪৭ রান (বনাম ইংল্যান্ড), # পাপুয়া নিউগিনি : ৯৫ রান (বনাম আফগানিস্তান), # উগান্ডা : ৪০ রান (বনাম নিউজিল্যান্ড), # নেপাল : ৮৫ রান (বনাম বাংলাদেশ), # পাপুয়া নিউগিনি : ৭৮ রান (বনাম নিউজিল্যান্ড) এবং # নিউজিল্যান্ড : ৭২ রান (বনাম আফগানিস্তান)।
জেডএস