সেন্ট্রাল উইকেটে ভারতের অনুশীলন কি আসলেই অবৈধ?

বাংলাদেশ এবং ভারত ক্রিকেটের বৈশ্বিক মঞ্চে লড়াই করবে, আর তা নিয়ে বিতর্ক হবে না এমনটা বোধহয় অসম্ভব। ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে আম্পায়ারের দুই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে যে বিরোধের শুরু, সেটা পরের ৯ বছরে ডালপালা মেলেছে। ভারতের পক্ষে আইসিসির পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কথাও আজ নতুন নয়।
বিশ্বকাপে সুপার এইটে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেই পুরাতন বিতর্কটা। ভারতকে ক্রিকেটের আইনের বাইরে গিয়ে সুবিধা দিচ্ছে আইসিসি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অ্যান্টিগায় মাঠের একেবারে সেন্ট্রাল উইকেটে গিয়ে অনুশীলন করেছেন বিরাট কোহলিরা। যা নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অ্যান্টিগায় একেবারে সেন্ট্রাল উইকেটে নিজেদের অনুশীলন পর্ব শেষ করেছে ভারত। এদিকে আইসিসির নিয়ম বলছে, যদি কোনো কারণে অনুশীলনের ভেন্যু পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে সবার আগে নিতে হবে আইসিসির অনুমোদন। অনুমোদন মিললেই নতুন ভেন্যুতে অনুশীলনের সুযোগ মিলবে কোনো দলের।

তবে যে ভেন্যুতে ম্যাচ হবে সেই ভেন্যুর সেন্টার উইকেট বা আশেপাশের উইকেটে অনুশীলনের সুযোগ আছে শর্তসাপেক্ষে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এসব নিয়ম মেনেই অ্যান্টিনার মাঠে অনুশীলন শেষ করেছে ভারত।
ক্রিকেটের আইনের ২৬.১.২ ধারা বলছে, ম্যাচের দিনে ম্যাচের পিচের বাইরে অন্যান্য পিচে দলগুলো আম্পায়ারের অনুমতি সাপেক্ষে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করতে পারবে। ভারত দল তাই দুই অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সাপেক্ষে অনুশীলন করতে পারে। যদি ২৬.১.১ ধারা বলছে, ম্যাচের পিচে কোনোভাবেই অনুশীলনের সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন
এছাড়া বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনের ১০.১ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ম্যাচের জন্য ব্যবহৃত পিচ অবশ্যই পুরোপুরি ঢেকে রাখতে হবে। অনুশীলনের প্রকাশিত ছবিতে তেমন করেই একটি পিচকে ঢেকে রাখা অবস্থায় দেখা গিয়েছে।
এছাড়া খেলা শুরুর আগে কিংবা পরে এমনকি লাঞ্চ বা চা বিরতির সময়ে আউটফিল্ডে অনুশীলন করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রেও আছে শর্ত। আম্পায়াররা যদি মনে করেন, এমন অনুশীলনের কারণে আউটফিল্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তবে অনুশীলন সেখানেই স্থগিত করা হবে।
যদিও এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে উইকেট দেখারই সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। আর ভারত ম্যাচের আগে এমনকিছুর অনুমতি আইসিসির কাছে চাওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে আছে প্রশ্ন।
জেএ