‘হৃদয়বিদারক, ক্রিকেট নিষ্ঠুর’, ফাইনালে হারের পর ডোনাল্ড

প্রায় ছুঁয়ে ফেলার দূরত্বে থেকে হৃদয় ভেঙেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের দেওয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্য তারা প্রায় পেরিয়েই গিয়েছিল। কিন্তু শেষের সমীকরণ মেলাতে না পারায় প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে প্রোটিয়াদের। ৭ রানের এমন হার সেই পুরোনো চোকার্স তকমার কথাই বারবার সামনে এনে দিচ্ছে। এমন হারের পর ক্রিকেটকে হৃদয়বিদারক ও নিষ্ঠুর বলে মন্তব্য করেছেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি ও বাংলাদেশের সাবেক কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
প্রায় পুরো বিশ্বকাপজুড়ে ঢাকা পোস্টের কাছে নিজের মতামত জানিয়ে সঙ্গে ছিলেন তাসকিন-মুস্তাফিজদের সাবেক এই গুরু। বাংলাদেশ সেমিফাইনালে ওঠার ভালো সুযোগ পেলেও, নাজমুল হোসেন শান্তদের বিদায়ে ধরনকে লজ্জার বলেও মন্তব্য করেছিলেন ডোনাল্ড। এবার তাকে আরও বড় আঘাত পেতে হলো নিজের দেশের পরাজয়ে। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে ভারতের কাছে হারের পর স্বাভাবিকভাবে তিনিও ব্যথিত।
এ নিয়ে সাবেক এই প্রোটিয়া পেসার বলেন, ‘ক্রিকেট নিষ্ঠুর এবং এটি হৃদয়বিদারক। আমরা ভালোবেসে এ খেলাটা খেলি, কিন্তু সেটাই আমাদের বারবার ভেঙেচুরে দেয়। তারপর আপনি উঠে দাঁড়ান এবং আবারও ধুলো ঝেড়ে সামনের দিকে নিজেকে ধাবিত করেন। এভাবে চলতে থাকে পরবর্তী বিশ্বকাপ পর্যন্ত!’
তবে এইডেন মার্করামের নেতৃত্বাধীন এই আফ্রিকান দলটি নিয়েই আশা দেখছেন ডোনাল্ড। পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপের (২০২৭) আসর বসবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া। সেখানে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছেন অ্যালান ডোনাল্ড, ‘আমি দেখেছি যে এই দলটা (এবারের বিশ্বকাপ খেলা স্কোয়াড) দেখিয়েছে যে, তারা একসঙ্গে বড় কিছু অর্জন করতে যাচ্ছে। আশা করি দক্ষিণ আফ্রিকায় পরবর্তী ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ তাদের জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ হবে।’
আরও পড়ুন
এমন এক পরাজয় যা প্রচন্ড কষ্ট দিয়েছে দলটির অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে। ধীরস্থির স্বভাবের এই তারকা ম্যাচের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেছেন অনেক কথাই, অবশ্য পারেননি হতাশার কথা লুকাতে। শেষ ওভারে ছয় হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ আউট হওয়া ডেভিড মিলার তো কান্না লুকাতে পারেননি। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর ফাফ ডু প্লেসি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সদের স্মৃতিই ফিরিয়ে আনলেন তিনি।
একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে এই কষ্ট ডোনাল্ডকেও ছুঁয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি ব্যথিত। তাদের (মার্করাম-মিলার) কষ্ট এবং আবেগও আমি আঁচ করতে পারছি।’
এসএইচ/এএইচএস