ক্যান্সারে আক্রান্ত সতীর্থ, পেনশনের টাকাও দিতে প্রস্তুত কপিল
এক সময় ভারত জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলেছেন কপিল দেব ও অংশুমান গায়কোয়াড়। সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ গায়কোয়াড় এখন ব্লাড ক্যান্সারের রোগী। যদিও লন্ডনে চিকিৎসাধীন এই সতীর্থের কথা কপিল প্রথম জেনেছেন পত্রিকার কলাম পড়ে। এরপর থেকে মন ভারাক্রান্ত ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়কের। তাই গায়কোয়াড়ের চিকিৎসায় বিসিসিআইকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি নিজের পেনশনের টাকা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন কপিল।
এ নিয়ে ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্টস্টারকে কপিল বলেছেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ও হতাশাজনক। অংশুর অসুস্থতার খবরে ব্যথিত। কারণ, আমি তার সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। তাকে এই অবস্থায় দেখার ব্যাপারটি সহ্য করতে পারছি না। আমরা তার চিকিৎসায় সহযোগিতার হাত বাড়াতে প্রস্তুত। পরিবার চাইলে পেনশনের টাকাও দিয়ে দিতে পারি।’
নিজে যেমন এগিয়ে আসতে চান, তেমনি সাবেক ক্রিকেটারদের অর্থকষ্টে ভোগার পেছনে বিসিসিআইয়ের ব্যবস্থাপনা ঘাটতির বিষয়টি সামনে এনেছেন কপিল। এজন্য তিনি কল্যাণ তহবিল গঠনেরও আহবান জানান, ‘এখনকার প্রজন্মের ক্রিকেটাররা বিপুল অর্থ আয় করে। সাপোর্ট স্টাফের সদস্যরাও ভালোই বেতন পেয়ে থাকে। আমাদের সময়ে বোর্ডের এত টাকা ছিল না। এখন যেহেতু বোর্ডের অনেক টাকা, তাই সাবেক সিনিয়র ক্রিকেটারদের দেখভাল করা উচিৎ। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের (অর্থ সংগ্রহের) কোনো ব্যবস্থা নেই। আমাদের একটি ট্রাস্ট গড়ে তোলা উচিত। আমার মনে হয় বিসিসিআই সেটা করবে।’
একইসঙ্গে অন্যদেরও অংশুমানের চিকিৎসায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক, ‘মানুষ তাদের জন্য কোথায় টাকা পাঠাবে? যদি একটা ট্রাস্ট গঠন করা হয়, তাহলে সেখানে টাকা রাখা যেত। কিন্তু আমাদের সেই ব্যবস্থা নেই। আমরা কাউকে বাধ্য করছি না। অংশুর জন্য যেকোনো সাহায্য আপনার হৃদয় থেকে আসতে হবে। সে কয়েকজন ভয়ংকর ফাস্ট বোলারকে সামলাতে গিয়ে মুখে ও বুকে আঘাত পেয়েছিল। এখন আমাদের সময় এসেছে তার পাশে দাঁড়ানোর। আমি নিশ্চিত, আমাদের ক্রিকেট ভক্তরা তাকে হতাশ করবে না। তার সুস্থতার জন্য সবার প্রার্থনা করা উচিত।’
আরও পড়ুন
এর আগে অংশুমান গায়কোয়াড় ভারতের হয়ে খেলেছেন ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি ৪০ টেস্ট ও ১৫ ওয়ানডে খেলেছেন। এরপর জাতীয় দলের কোচ ছিলেন দুই দফায়। অংশুমানের অধীনেই ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রানার্সআপ হয় ভারত।
— Clayton J Murzello (@ClaytonMurzello) July 2, 2024
কপিল যে কলাম পড়ে অংশুমানের এই অবস্থা জেনেছেন তারই আরেক সাবেক সতীর্থ সন্দীপ পাতিল। লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে তাকে দেখে ফিরে আসার পর গায়কোয়াড়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভারতীয় দৈনিক মিড–ডেতে কলাম লেখেন তিনি। যেখানে তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা জানিয়ে বিসিসিআইয়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়।
এএইচএস