২০১৪ যেন ফিরে এলো বার্সা-অ্যাটলেটিকো লড়াইয়ের প্রথমার্ধে

সাত বছর আগে ন্যু ক্যাম্পের সেদিন যেন ফিরে ফিরে আসছিল ন্যু ক্যাম্পে। যেদিন অ্যাটলেটিকোর কাছে হেরে লিগটাও হারিয়েছিলেন মেসিরা। ম্যাচের শুরুতেই ২০১৩-১৪ মৌসুমের সে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ডিয়েগো কস্তাকে উঠে যেতে হয়েছিল। এদিন উঠলেন থমাস লেমার, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে। এরপর মাঠ ছাড়লেন সার্জিও বুস্কেটসও। প্রথমার্ধ শেষে দাপট অবশ্য থাকল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদেরই। গোলশূন্য ভাবেই কাটল বিরতির আগ পর্যন্ত।
লেমারের উঠে যাওয়ার আগে ও পরে দুটো সুযোগ এল প্রথম বিশ মিনিটে, দুটোই অ্যাটলেটিকোর পক্ষে। প্রথমটা চোট নিয়ে ওঠার একটু আগে লেমারই করেছিলেন, শটটা ঠেকাতে মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের সমস্যাই হয়নি। তবে তার পরে আনহেল কোরেয়ার চেষ্টা ক্লেমেন্ত লংলেকে বেশ কসরতই করতে হয়েছে।
শুরুর দিকে সাড়াশি আক্রমণে পাসিং লেন ব্লক করার কৌশল বল পায়ে না থাকলেও কোচ দিয়েগো সিমিওনের দলকে দিয়েছিল ম্যাচের আধিপত্য। ফলে প্রথম শটটা পেতে বার্সাকে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ২৮ মিনিট পর্যন্ত। অ্যান্টোয়ান গ্রিজমানের সে শটটাও গেছে একদম প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ইয়ান অবলাক বরাবর।
মাঝমাঠে স্তেফান স্যাভিচের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় ব্যথা পাওয়া সার্জিও বুস্কেটসকে বার্সা হারায় এরপর। শেষ দুই ম্যাচে দলের অন্যতম সেরা পারফর্মারকে ম্যাচের ৩১ মিনিটেই হারিয়ে মাঝমাঠের দখলটাও যেন গেল এর সঙ্গে সঙ্গে। যার প্রমাণ মেলে ৩৩, ৩৪, ৩৬, আর ৩৭ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর চার চারটে আক্রমণে। তবে মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন আর জেরার্ড পিকে ছিলেন বলে রক্ষা।
বার্সার ম্যাচের সেরা আক্রমণটা এসেছে এরপর। মাঝমাঠ থেকে লিওনেল মেসির দুরন্ত সলো রানে চার পাঁচজনকে ছিটকে করা শটটা যেন মনে করিয়ে দিচ্ছিল সেই স্বর্ণসময়ের মেসিকে। তবে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ইয়ান অবলাক ছিলেন, তাই ফলটা আর সেই স্বর্ণযুগের মতো হয়নি। কোনোক্রমে কর্নার দিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন অ্যাটলেটিকোর স্লোভেনিয়ান গোলরক্ষক।
আরও একটা সুযোগ দলটা পেয়েছে শেষ মূহুর্তে। কিন্তু বক্সের মাথায় ফ্রি স্পেসে পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ফেলিপে। আরও একবার সুযোগ পেয়েও গোলবঞ্চিত থাকে সিমিওনের দল।
এনইউ/এমএইচ