শ্রীলঙ্কা পুড়লো নরকিয়ার আগুনে

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৫৭ (পেরেরা ৬০, হাসারাঙ্গা ২৯, চামিরা ২২; নরকিয়া ৫৬-৬, মুল্ডার ২৫-৩)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৪৮/১ (এলগার ৯২*, ফন ডার ডাসেন ৪০*; আসিথা ফার্নান্দো ৩০-১)
প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য ছিলো ঘুরে দাঁড়ানো। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকা শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়াবে কি, উল্টো পুড়লো আনরিখ নরকিয়ার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৫৭ রানে। জবাবে প্রোটিয়ারা প্রথম দিনেই তুলে ফেলেছে ১৪৮ রান।
শ্রীলঙ্কার টস জিতে ব্যাট করতে নামার সিদ্ধান্তকে শুরু থেকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে শুরু করেন নরকিয়া। ব্যক্তিগত ২ রানে ফেরান দ্বিমুথ করুনারত্নেকে। শুরুর ধাক্কা সামলাতে দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা ও লাহিরু থিরিমান্নে এরপর ঢুকে পড়েন খোলসে। কিছু পরেই অবশ্য পেরেরা প্রতি আক্রমণের লক্ষ্যে শুরু করেন আগ্রাসী ব্যাটিং, তাতে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতকটা আসে মাত্র ৫৪ বলে।
তবে তার প্রতি আক্রমণ শেষ হয় এর কিছুক্ষণ পর। ৬৭ বলে ১১ চারে তার করা ৬০ রানের ইনিংস থামান ভিয়ান মুল্ডার। পেরেরা-লাহিরুর ৫২ রানের জুটির পরই যেন তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে লঙ্কান ইনিংস। সে ওভারেই কুশল মেন্ডিসকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরান মুল্ডার। পরের ওভারে আবারও মুল্ডারের আঘাত, এবার শিকার ১৭ রান করা থিরিমান্নে।
এরপর অভিষিক্ত মিনোদ ভানুকা পড়েন নরকিয়ার তোপে। তাতে ৭১ রানে এক উইকেট থেকে মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
বিরতির পর যেন আরও ক্ষুরধান নরকিয়া। নিরোশান ডিকওয়েলা ও দাসুন শানাকাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা অবশ্য করেছিলেন প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কার অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান ভানিদু হাসরাঙ্গা।
দুশমন্থ চামিরার সঙ্গে তার ৩৯ রানের জুটি শেষমেশ কাটা পড়ে লুথো সিপামলার কল্যাণে। ২৭ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেলে বিদায় নেন হাসরাঙ্গা। চামিরা হন নরকিয়ার শিকার, ২২ রান করা তাকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট শিকার পূর্ণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসার। পরের ওভারে আসিথা ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং বিশ্লেষণও বাগিয়ে নেন নরকিয়া। ইনিংস শেষে তার বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড়ায় ১৪.৩-১-৫৬-৬।
দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে জবাব দিতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা বিপাকে পড়ে শুরুতেই। আসিথার বলে মাত্র ৫ রানেই সাজঘরমুখো হন এইডেন মারক্রাম। ৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর আর কোনো ভুলচুক করেনি স্বাগতিকরা। ডিন এলগার ও রাসি ফন ডার ডুসেনের অবিচ্ছিন্ন ১১৪ রানের জুটিতে বড় লিডের সম্ভাবনাই উঁকি দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। ক্যারিয়ারের ত্রয়োদশ শতক থেকে আট রান দূরে থেকে দিন শেষ করেছেন এলগার, ফন ডার ডুসেন আছেন অর্ধশতক থেকে ১০ রানের দূরত্বে।
এনইউ