রেড লিস্টে থাকলেও ইংল্যান্ডে ঢুকতে পারবে ভারত-পাকিস্তান

করোনাভাইরাস শঙ্কায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের ওপরই প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে যুক্তরাজ্য। তবে তা সত্বেও ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে নিজ দেশে প্রবেশাধিকার দিচ্ছে দেশটি। পাকিস্তান ক্রিকেট দল দেশটিতে যাবে আগামী ২২ কিংবা ২৩ জুন। তবে স্থানীয় হোটেলের পরিবর্তে তাদের কোয়ারেন্টাইন ঠিকানা হবে সাউদাম্পটনের এইজেস বোলে। চার মাসের জন্য ইংল্যান্ডে পা রাখা ভারতের জন্যেও প্রযোজ্য একই প্রক্রিয়া।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবেন বিরাট কোহলিরা। এর আগে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে ভারত। তবে পাকিস্তানের সফরটা ভারতের মতো অত বড় হচ্ছে না। বাবর আজমের দল সেখানে স্বাগতিক ইংলিশদের বিপক্ষে খেলবে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি।
বাবর-কোহলিদের প্রবেশাধিকার মিললেও সেখানে পরিবার নিয়ে যেতে পারবেন কিনা খেলোয়াড়রা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এখন পর্যন্ত শুধু স্কোয়াড ও স্টাফদের প্রবেশাধিকারই নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ডে একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন কাউন্টি ক্রিকেট ও দ্য হান্ড্রেডে খেলতে গিয়েও।
ইংল্যান্ড সিরিজের পর পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবেন বাবররা। সেখানে দুটো টেস্ট আর পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ খেলবে দলটি। দুই সফরে কেমন শক্তিশালী দল পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে দুই সফরকে সামনে রেখে ইংল্যান্ডেই একটা বড় বহর নিয়ে সফরের ভাবনা আছে পাকিস্তান বোর্ডের।
এদিকে ইংলিশ গ্রীষ্ম শুরু হচ্ছে জুনের গোড়ার দিকেই। আগামী ২ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে মাঠে নামছে ইংলিশরা। কিউইরা ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ড সরকারের সবুজ তালিকাভুক্ত থাকায় কেন উইলিয়ামসনের দল মাত্র তিন দিন কোয়ারেন্টাইনের পরই নামবে মাঠে। সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলতে শ্রীলঙ্কাও যাবে ইংল্যান্ডে। তবে দেশটি ইংলিশদের হলুদ তালিকাভুক্ত হওয়ায় লঙ্কানদের থাকতে হবে এক সপ্তাহ দীর্ঘ কোয়ারেন্টাইনে।
এনইউ/এটি