বিশ্বকাপের সমীকরণ নিয়ে ভাবছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ঝুলে আছে বাংলাদেশের মেয়েদের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার ভাগ্য। প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছিল ১৮৪ রান। দিনশেষে সরাসরি বিশ্বকাপের দৌড়ে টিকে থাকতে এই রানকে জয়ে পরিণত করলো নারী ক্রিকেটাররা।
নাহিদা আক্তারের ৩ উইকেটের সঙ্গে রাবেয়া খান ও ফাহিমা খাতুনের জোড়া শিকার। পেসার মারুফাও পেয়েছেন ২ উইকেটের দেখা। উইন্ডিজ নারীদের বাংলাদেশ আটকে দিয়েছে ১২৪ রানে, জয় ৬০ রানে। আর তাতেই সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নটাও জিইয়ে রেখেছে টাইগ্রেসরা। পরের ম্যাচে জিততে পারলেই বিশ্বকাপের দরজা খুলে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময় আগামী শুক্রবার রাতে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। প্রথমবারের মতো সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে সেই ম্যাচে কেবল হার এড়ানোই বাংলাদেশের লক্ষ্য। ম্যাচ মাঠে না গড়ালেও জ্যোতির দল চলে যাবে বিশ্বকাপে। আর সেটা ঘটলে নিউজিল্যান্ডকে খেলতে হবে বাছাইপর্বে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারানোর পর বিসিবির ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি বলেন, 'সমীকরণের চিন্তা এখনও করছি না। প্রথম ম্যাচ হারার এক দিন পরই দল এভাবে ঘুরে দাঁড়াল, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের অনেক বেশি কাজে লাগবে। দুটি পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মোমেন্টাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দল সেটা পেয়েছে।
'শেষ ম্যাচে আমাদের চেষ্টা এটাই থাকবে। সিরিজ জয়ের একটা চেষ্টা থাকবে। দেশের বাইরে আমরা কখনও সিরিজ জিততে পারিনি। অর্জন করতে পারলে আমাদের দলের জন্য অনেক বড় একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।'
জ্যোতি আরও বলেন, 'প্রথমত, আমি মনে করি যে, দলের বিশ্বাস ছিল। যদিও রানটা অনেক কম ছিল। এসব উইকেটে দুইশর বেশি রান না করলে বোলারদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন। তবে আমরা যখন মাঠে নামি, এর আগেই বলছিলাম যে, সবাই যেন জয়ের বিশ্বাস রাখি। কারণ, আমরা যদি জায়গায় বল রাখতে পারি, পরিকল্পনা অনুযায়ী সময়মতো উইকেট নিতে পারি, তাহলে (জেতা) সম্ভব।'
'আমাদের পরিকল্পনা ছিল আগে বল করার। টসে হেরে যখন ব্যাটিংয়ে গেছি, যেহেতু ভালো ট্র্যাক, আমাদের লক্ষ্য ছিল দুইশর বেশি রান। সেটা আমরা পারিনি। আমি চেষ্টা করেছি, নিজের ধরনের বাইরে গিয়ে অনেক বেশি বল খেলতে এবং থিতু হতে। এখন দিনশেষে মনে হচ্ছে, রানগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের জন্য এবং দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি অনেক বেশি খুশি।'
এসএইচ/এফআই