ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদনের পর এনএসসির ৫ সদস্যের কমিটি

গত ২৮-৩১ ডিসেম্বর ঢাকা পোস্ট জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) নিয়ে চার পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। প্রতিটি পর্বে সংস্থাটির বিভিন্ন বিষয়ের দুর্বলতা ও অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়। যা ক্রীড়াঙ্গনে গতিশীলতার অন্তরায় ও উন্নতির প্রতিবন্ধক। এনএসসি ঢাকা পোস্টের সেসব প্রতিবেদন আমলে নিয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি পর্যালোচনা কমিটি করেছে।
৩০ জানুয়ারি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম, এনডিসি স্বাক্ষরিত চিঠিতে পাঁচ সদস্যের কমিটিকে ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোন বিষয়গুলো এনএসসি গ্রহণ করতে পারে এবং সেগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব তা নিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালককে (ক্রীড়া) কমিটির আহ্বায়ক, ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালককে সদস্য সচিব, সহকারী পরিচালককে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এবং হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষক কামরুল ইসলামকে (কিরণ) সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। একটি সমন্বিত কমিটি গঠিত হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সকল শাখার প্রতিনিধি নিয়ে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম অভিভাবক সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। দেশের সকল ক্রীড়া স্থাপনার মালিক এই প্রতিষ্ঠান। ক্রীড়া সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান হলেও সময়ের বিবর্তনে এনএসসি ক্রীড়া শাখা–ই সবচেয়ে অবহেলিত। খেলোয়াড়-প্রশিক্ষক ছাপিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে সাম্প্রতিক সময়ে নির্মাণ ও সংস্কার প্রাধান্য পেয়েছে। ফেডারেশনগুলোর অভিভাবক সংস্থা হলেও অনেক সময় প্রকৃত তদারকি করতে পারে না, আবার ফেডারেশনগুলো অভিভাবকের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রত্যাশী হয়েও পায় না।
ঢাকা পোস্ট ক্রীড়াঙ্গনে অনিয়ম ও অসঙ্গতির বিষয়গুলো নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরে। সংবাদমাধ্যমটি ২০২৩ সালে জাতীয় পরিষদের স্বীকৃত ক্রীড়া সঙ্গীত নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল। বিশ্বের অনেক দেশে ক্রীড়া সঙ্গীত নেই, অথচ বাংলাদেশে থাকলেও সেটি সাইনবোর্ড সর্বস্ব। ঢাকা পোস্টের বিশেষ এই প্রতিবেদন এআইপিএস (ক্রীড়া লেখক ও সাংবাদিকদের বৈশ্বিক সংগঠন) মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে ২০২৪ সালে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছিল।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। লিঙ্গের ভিত্তিতে ক্রীড়া সংস্থা বিশ্বে খুবই বিরল। ২০২২ সালে ঢাকা পোস্ট ‘মহিলা ক্রীড়া সংস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক ধারাবাহিক প্রতিবেদনে নানা বিষয় তুলে আনে। সেই প্রতিবেদন এআইপিএস মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে একটি ক্যাটাগরিতে এশিয়ার প্রথম স্থান অর্জন করেছিল ২০২৩ সালে।
এজেড/এএইচএস