চাহিদার চেয়েও কম পারিশ্রমিকে ডিপিএলে খেলতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের

সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে কম ঝামেলা হয়নি। নিজেদের সম্মানি না পাওয়ায় ম্যাচ বর্জনের মতো ঘটনাও ঘটেছিল। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার মাস খানেক পেরিয়ে গেলেও এখনো অনেক ক্রিকেটার টাকা বুঝে পাননি বলেই জানা যাচ্ছে।

আগামী ৩ মার্চ থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) আসন্ন আসর। যেখানে অংশগ্রহণ করবে বরাবরের মতোই ১২ টি দল। ব্যাটে-বলের লড়াই শুরুর আগে আবারও আলোচনায় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক। 

গেল আসর থেকে এবারের আসরে কম পারিশ্রমিক নিয়েই খেলবেন ক্রিকেটাররা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশের সার্বিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করেই কম পারিশ্রমিকে খেলতে রাজি হয়েছেন ক্রিকেটাররা। 

দল পাওয়া কয়েকজন ক্রিকেটার, কোচ এবং ডিপিএলের সমন্বয়কারীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে ঢাকা পোস্ট। গেল বার বিপিএলে পারিশ্রমিক ছিল চাহিদা মোতাবেক। তবে এবারের আসরে সেটি কমেছে বেশ কয়েকগুণ। আর্থিক সমঝোতা না হওয়ায় এখনো ডিপিএলে দল পাননি লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমানের মতো ক্রিকেটাররা। 

ডিপিএলের এবারের আসরের সমন্বয়কারী সাব্বির আহমেদ রুবেল বলছিলেন, ‘লিটন-মুস্তাফিজ এখনও দল পাননি বা কেউ তাদের বিষয়ে কোনো চিঠি দেননি।’ এবার ক্রিকেটারদের কম পারিশ্রমিক নিয়ে তিনি বললেন, ‘এটা তো আসলে ক্লাবের ব্যাপার। তারা যেভাবে ডিল করে আরকি। আশা করি ভালো একটা টুর্নামেন্ট হবে।’

মোহামেডানের হয়ে নাম লেখানো ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বলছিলেন, 'আমিও অনেক কম নিয়ে খেলছি বর্তমান পেক্ষাপটের কারণে। সবাই সবার ২০% কম মূল্যে খেলছে, আমি না শুধু সবাই। তবুও ভালো মাঠে খেলা হচ্ছে, যদি না হতো তাহলে এই টাকাটাও পেতাম না। আর বিপিএলে তো সবাই খেলতে পারে না আমরা ৪০-৫০ জনের মতো খেলি। কিন্তু ডিপিএল খেলে ১৫০ জনের বেশি ক্রিকেটার। কম হলেও খেলা হচ্ছে ধন্যবাদ দিতে হবে ক্লাব এবং বিসিবিকে।'

এদিকে, প্রাইম ব্যাংক দলের হেড কোচ তালহা জুবায়ের জানালেন, 'প্রাইম ব্যাংক শুরুতে তো সবাইকে ছেড়ে দিয়েছিল। এরপর নতুন করে চুক্তি করে। পরে ম্যানেজমেন্ট খেলোয়াড়দের অফার করে তারা সেভাবেই রাজি হয়। কম বা বেশির বিষয়টি এখানে নেই বলতে পারি। রোববার প্রথম ধাপে ক্রিকেটাররা টাকা পাবেন।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার বলছিলেন, 'গেল বারের টাকার তিন ভাগের এক ভাগ পেয়ে খেলছি। তবে খেলা মাঠে গড়ানোতেই স্বস্তি। যেহেতু সবার পক্ষ থেকেই কম নিয়ে খেলছেন সবাই। এখন মাঠের খেলায় ভালো করতে মুখিয়ে আছি।'

এ ছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের কোচ রাজিন সালেহ বলেন,  'ক্রিকেটাররা হয়তো ১০ থেকে ১৫% টাকা কমে খেলছে আমাদের দলে। তবে চেষ্টা করা হয়েছে সর্বোচ্চটা দেওয়ার। অলরেডি ৫০ শতাংশ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের।'

এসএইচ/এফআই