সেদিকউল্লাহ-ওমরজাইয়ের ফিফটিতে আফগানদের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিকে থাকার লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়েছে আফগানিস্তান। যদিও লড়াইয়ের শুরুটা হাশমতউল্লাহ শহিদীদের জন্য সহজ ছিল না। শুরুতে ছিল অজি পেসারদের দাপট। তদের গতি ও সুইংয়ের মিশ্রণে খাবি খেয়েছে আফগান ব্যাটাররা। তবে তরুণ ব্যাটার সেদিকউল্লাহ অটল ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়ায় আফগানিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ২৭৩ রান।
রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টির বাধায় ভেস্তে গিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দুটি ম্যাচ। তেমনই শঙ্কা ছিল লাহোরেও। তবে সেই শঙ্কা ছাপিয়ে আজ (শুক্রবার) অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান ম্যাচের প্রথম ইনিংস নির্বিঘ্নভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। টস জিতে এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা কঠিন হলেও, স্কোরবোর্ডে ভুগতে হয়নি আফগানদের। তবে দ্বিতীয় ও চতুর্থ উইকেট ছাড়া তারা বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি। এর মাঝেও দারুণ দুটি ইনিংস খেলেছেন সেদিকউল্লাহ (৮৫) ও ওমরজাই (৬৭)।
এর আগে ইনিংসের শুরুতেই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে অসাধারণ এক ইনসুইং ইয়র্কারে বোল্ড করে দেন স্পেন্সার জনসন। তার সঙ্গে আরেক গতিতারকা বেন দারউইস–ও সুইং ও গতিতে দিশেহারা বানিয়েছেন ব্যাটারদের। যদিও আফগানরা যে হিসাবে চাপে থাকার কথা সেরকমটা হয়নি জনসনের দুটি ওভার-বাউন্ডারিতে। তার পরপর দুটি গতিসম্পন্ন দুটি সুইং ডেলিভারি উইকেটরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বাই-চারে পরিণত হয়। যা কিছুটা চাপমুক্তি দেয় আফগানদের। পুরো ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অতিরিক্ত রান দিয়েছে ৩৭, যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ।

এভাবে অতিরিক্ত রানের ফসরা সাজিয়ে অজি বোলাররা দলীয় ৩ রানেই প্রথম উইকেট হারানো প্রতিপক্ষকে বড় জুটির উপলক্ষ্য এনে দেন। দ্বিতীয় উইকেটে সেদিকউল্লাহ ও গত ম্যাচের ইতিহাসগড়া সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরান মিলে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ২২ রানে ইব্রাহিমের বিদায়ে সেই জুটি ভাঙে। অ্যাডাম জাম্পার বলে কাট করতে গিয়ে তিনি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন মার্নাস লাবুশেনের হাতে। রহমত শাহ–ও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে এজ হয়ে কিপারের হাতে ধরা পড়েন ১২ রান করে।

দারুণ ফর্ম দেখিয়ে জাতীয় দলে আসা সেদিকউল্লাহ এই ম্যাচের আগে সেভাবে রান পাচ্ছিলেন না। আজ দলের বিপর্যস্ত অবস্থায় খেললেন কার্যকরী ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে তিনি অধিনায়ক শহিদীর সঙ্গে গড়েন ৬৮ রানের জুটি। একপর্যায়ে ছন্দপতন হয় সেদিকউল্লাহ’র, ক্যাচ দেওয়ার আগে ৯৫ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় তিনি ৮৫ রান করেছেন। শহিদীও ধীরগতির এক ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান ৪৯ বলে ২০ রান করে। এরপর শুরু হওয়া সতীর্থদের যাওয়া-আসার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল ওমরজাই। শেষদিকে আউট হওয়ার আগে ৬৩ বলে এক চার ও ৫ ছক্কায় ৬৭ রান করেন। এ ছাড়া রশিদ খান করেন ১৯ রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দারউইস সর্বোচ্চ ৩ উইকেট এবং জনসন ও জাম্পা ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন।
এএইচএস