পেছাল বিসিএল, রেলিগেশন দুটোই, বাফুফে সভাপতির ক্লাবের শাস্তি কী?

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল) আগামী ৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ক্লাবগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে খেলা দিন পাঁচেক পিছিয়ে ৯ মার্চ থেকে শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ (শনিবার) দুপুরে বিসিএল ক্লাবগুলোর সঙ্গে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসানের এক আলোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে এবার ১১ দল অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। বাফুফে সভাপতির ক্লাব নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব দলবদলে অংশগ্রহণ করেনি। ১০ দলের মধ্যে আজ আলোচনা সভায় পিডব্লিউডি ছাড়া বাকি নয়টি ক্লাবই ছিল। ফরাশগঞ্জের কর্মকর্তা বাবুরাম বলেন, ‘আমাদের কিছু দাবি দাওয়া ছিল ফেডারশেনের কাছে। সেটার অনেকটাই পূরণ হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতির জন্য খেলা পিছিয়ে ৯ মার্চ করা হয়েছে। ক্লাবগুলোকে বল প্রদানের পাশাপাশি স্পন্সরশিপ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ারও আশ্বাস পাওয়া গেছে।’ অনানুষ্ঠানিক এই সভায় লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে ক্লাব প্রতিনিধি ছাড়াও লিগ কমিটির দুই জন সদস্য ছিলেন।
চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে অবনমন দু’টি ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শীর্ষ (এলিট একাডেমি শীর্ষে বা অবনমন তালিকায় থাকলে এর পর/উপরের দল গণ্য) দুই দল প্রিমিয়ার লিগে খেলবে। নোফেল স্পোর্টিং অংশগ্রহণ না করায় দলসংখ্যা কমলেও অবনমন দু’টিই থাকবে। আজকের সভায় এমন আলোচনাই হয়েছে। লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান ২ দলের অবনমন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৌসুমের শুরুতে ফেডারেশন অনড় থাকলেও, খেলা শেষে ক্লাবগুলোর আবেদন ও ফেডারেশনের অনেক কর্মকর্তার নানা স্বার্থের কারণে আবার নিয়ম শিথিল হয়ে যায়। কাজী সালাউদ্দিনের সময় লিগের বাইলজ ভাঙা ছিল অলিখিত সংস্কৃতি। তাবিথ আউয়ালের সময় কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন
দলবদলে এন্ট্রি নিয়ে অংশগ্রহণ না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব প্রিমিয়ার লিগ থেকে নাম প্রত্যাহার করে বড় অঙ্কের জরিমানার শিকার হয়েছিল। অথচ গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রিমিয়ারে উঠেও, না খেলায় বাফুফে এক বছর পর মাত্র ৫ লাখ টাকা শাস্তি দিয়েছিল। বাফুফে সভাপতির ক্লাব শেষ মুহূর্তে দলবদলে অংশগ্রহণ না করায় কী শাস্তি হয় এ নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে কৌতুহল রয়েছে। এখনও বাফুফে এই সংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তবে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে, আগামী তিন মৌসুম নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব লাইসেন্সিং করতে পারবে না। ফলে পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলার সুযোগ থাকছে না তাদের।
এই নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি বাইলজ অনুযায়ী ডিসিপ্লিনারি কমিটি আর্থিক শাস্তি নির্ধারণের এখতিয়ার রাখে। ক্লাব আর্থিক শাস্তির মুখে থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে তাবিথ আউয়াল বাফুফের কাছে দুই কোটি টাকা পান। কাজী সালাউদ্দিনের বিগত কমিটিতে তিনি এ নিয়ে একাধিক চিঠি দিলেও কোনো প্রতিকার পাননি।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ গাজীপুর জেলা স্টেডিয়াম, বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার অনুশীলন মাঠ ও ফর্টিজ এফসি’র মাঠ মিলিয় তিন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। বিগত সময়ে বাফুফে স্টাফদের ভাষ্য ছিল– চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ পেশাদার লিগের অংশ, ফলে স্টেডিয়ামেই এই লিগ খেলতে হবে। এতদিন ক্লাব ও মিডিয়াকে এই ধারণা দিলেও এখন স্টেডিয়ামের বাইরে এই লিগ আয়োজন করতে যাচ্ছে ফেডারেশন।
এজেড/এএইচএস