গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যর্থ ব্যাটাররা, দুইশ’র আগেই থামল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সামনে ছিল সহজ সমীকরণ– বিশ্বকাপে কোনো হিসাব-নিকাশ ছাড়াই উঠতে হলে হারাতে হবে পাকিস্তানকে। এমন ভাবনা মাথায় নিয়ে মাঠে নেমেই বিপর্যস্ত টাইগ্রেসদের ব্যাটিং লাইনআপ। অথচ এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশি ব্যাটারদের রানে ফেরা ছিল স্বস্তির বিষয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই ব্যর্থ জ্যোতি-পিংকীরা। রিতু মণি ও ফাহিমা খাতুনের ব্যাটে কোনোমতে তারা ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৮ রান সংগ্রহ করেছে।
লাহোরের সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে ভাগ্য নির্ধারণী এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। এ নিয়ে চলমান বাছাইপর্বে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চতুর্থবার তারা আগে ব্যাটিংয়ে নামে। বিপর্যয়ের যাত্রাটাও হয়েছে একদম শুরুতেই। ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই ফাতিমা সানার ইনসুইংয়ে বোকা বনে স্টাম্প খোয়ান ফারজানা হক পিংকী।
দলীয় ১০ রানে প্রথম উইকেট হারালেও ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন আরেক ওপেনার দিলারা আক্তার। কিন্তু আরেকপ্রান্তে শারমিন আক্তার সুপ্তাকে কিছুটা অস্বস্তিতে দেখেই হয়তো তিনি আরও আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা চালান। সাদিয়া ইকবালের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি ক্যাচ দেন ব্যক্তিগ ১৩ রানে। দুই রানের ব্যবধানেই এলবিডব্লু হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি (১)। সেই আউটটি নিয়ে যদিও কিছুটা সংশয় ছিল। জ্যোতি নিজেও অবিশ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
বাংলাদেশকে অবশ্য আরও বড় বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়েছে দুটি জুটি। শারমিন-রিতু মনির জুটিতে ৪৪ এবং রিতু-নাহিদা মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৪৭ রান। এরপর আর বলার মতো জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। তাদের পক্ষে রিতু মনি সর্বোচ্চ ৪৭ এবং ফাহিমা খাতুন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। এ ছাড়া শারমিন সুপ্তা ২৪ এবং নাহিদা ১৯ রান করেন। ফাহিমার কল্যাণে ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের পুঁজি ১৭৮–এ পৌঁছায়।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেছেন সাদিয়া ইকবাল। এ ছাড়া ফাতিমা সানা ও দিয়ানা বেগ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এএইচএস