পেছাচ্ছে সাফ অ্যাথলেটিক্স, বিপাকে ফেডারেশন

৩-৫ মে ভারতে সাফ অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন সেই লক্ষ্যে ক্যাম্প পরিচালনা করছে। গতকাল আয়োজকরা এক চিঠিতে জানায়, ৩-৫ জুন এই প্রতিযোগিতার সম্ভাব্য সূচি। নতুন এই ঘোষণায় বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন বিপাকেই পড়েছে।
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘আমরা ৩ মে অনুযায়ী সকল কিছু পরিকল্পনা করছি। এখন খেলা এক মাস পেছালে আমাদের ব্যয় বাড়বে। তাই আমরা আয়োজকদের এক-দুই সপ্তাহের বেশি না পেছানোর অনুরোধ করেছি।’ সাফ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি লালিত ভানত চিঠিতে সম্ভাব্য সূচি উল্লেখই করেছেন।
খেলা এক মাস পিছিয়ে গেলে বড় সমস্যাই পড়তে হবে বাংলাদেশকে, ‘যদি এক মাসই পেছায় তাহলে আমরা এত দিন ক্যাম্প করতে পারব কিনা সেটা সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। ইতোমধ্যে প্রায় মাস খানেক সময় ক্যাম্প হয়েছে হঠাৎ ক্যাম্প ছেড়ে দিলে এর ফল পাওয়া যাবে না। আবার এত দিন ক্যাম্প চালানোও আমাদের জন্য কঠিন। ’
সাফ অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য কয়েকটি ইভেন্টে ১৪ জন অ্যাথলেট ক্যাম্পে ছিলেন। জাতীয় প্রতিযোগিতায় নিজেদের নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে জাতীয় দলে আসলেও আজ আবার ফেডারেশন উন্মুক্ত ট্রায়াল দিয়েছিল। সেই ট্রায়ালে কেউই জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকাদের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি। ক্যাম্পের মধ্যেই ট্রায়াল কেন আগে উঠা সেই প্রশ্ন আজ আরো জোরালো হয়েছে।
এ নিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের ব্যাখ্যা, ‘জাতীয় দলের ক্যাম্পে যারা আছে তারা একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরিবেশে থাকল। পাশাপাশি অন্যরাও নিজেদের প্রমাণ করার আরেকবার সুযোগ পেল। সেরাদেরই আমরা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেব।’
দক্ষিণ এশিয়ায় সাফ অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ অনিয়মিত আসর। প্রায় এক যুগ এই প্রতিযোগিতা হয় না। দীর্ঘদিন পর ভারতে আরেকটি আসর হওয়ার দোরগোড়ায় ছিল তখনই খেলা পিছিয়ে যাওয়ার চিঠিতে পুরনো শঙ্কা ভর করছে।
এজেড/জেএ