১৩ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হলো বাবরের

যতটা উচ্চাশা ও প্রতিভা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তা থেকে যেন ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি ফর্মের অধারাবাহিকতায় ভুগছেন অনেকদিন ধরে। গত বছর টেস্ট সিরিজের মাঝেই দল থেকে বাদ পড়ার ঘটনা ঘটেছিল এই পাক তারকার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৩ বছরে বাবর এবার প্রথম একটি বিব্রতকর অভিজ্ঞতার মুখে পড়লেন।
চলমান পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) পেশোয়ার জালমিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাবর। কিন্তু ব্যাট হাতে এখন পর্যন্ত খেলা তিনটি ম্যাচেই তিনি কিছু করতে পারেননি। আউট হয়েছেন যথাক্রমে ০, ১ ও ২ রানে। অর্থাৎ, তিন ম্যাচে সবমিলিয়ে মাত্র ৩ রান এসেছে বাবরের ব্যাটে। তার রানের এই দুর্দশা কেবল ফর্ম নিয়ে সংগ্রামের চিত্রই ফুটিয়ে তুলছে না, বরং পেশোয়ারকেও দারুণ বিপদে ফেলছে।
ধারাবাহিকভাবে এমন বাজে ব্যাটিংয়ের এমন দশা আগে কখনোই হয়নি বাবরের। এমনকি ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবার তিনি টানা টি-টোয়েন্টিতে তিন রানেরও আগে আউট হয়েছেন। তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কতটা তলানিতে নেমেছে এটাই তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। বাবরের টানা ব্যর্থতার সঙ্গে দলীয়ভাবেও প্রথম দুই ম্যাচে ম্লান ছিল পেশোয়ার। টানা দুই হারের পর অবশ্য গতকাল তারা আসরের প্রথম জয় পেয়েছে।
অথচ পিএসএলের গত আসরে বাবরের ব্যাটিং ছিল আশা জাগানিয়া। ওই সময় দারুণ ফর্মে থাকা এই পাকিস্তানি তারকা ৫৬৯ রান করেছিলেন। যা ছিল পিএসএলে তার সবচেয়ে সেরা আসর। ফলে পেশোয়ার এবং বাবরভক্তদের এবারের পিএসএলে হয়তো প্রত্যাশাটা আরও বেশিই ছিল। এই আসরটি নিজেকে ফিরে পাওয়ারও মঞ্চ হতে পারত বাবরের জন্য। উল্টো বিব্রতকর কীর্তিতে আত্মবিশ্বাসটাও হয়তো তলানিতে ঠেকছে সাবেক পাক অধিনায়কের।
বাবরের এমন রানখরা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি সর্বশেষ সেঞ্চুরি পাওয়ার দুই বছর হতে চলল। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের সর্বশেষ দেখা পেয়েছেন নেপালের বিপক্ষে, ২০২৩ সালের আগস্টে। অবশ্য এই সময়ে প্রায় সব ফরম্যাটেই তিনি অনিয়মিতভাবে রান পেয়েছেন, করেছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। কিন্তু ধারাবাহিক রানের দেখা পাচ্ছেন না অনেকদিন ধরেই!
আরও পড়ুন
ব্যাটিংয়ে বাবরের এমন দুর্দশা নিয়ে পেশোয়ারের বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘সে মাঝে অনেক চাপে ছিল। কঠিন সময়ে সেভাবে সমর্থন না পাওয়ায় সেটি তাকে মানসিকভাবে আরও আহত করে দেয়। সে পাঁচ বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করেছে। একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন থাকবেই। তবে বাজে পারফরম্যান্স আরও শক্তিশালী করে তোলে তাকে। ৩০-৪০ রান বাবরের জন্য কিছুই নয়। তার দরকার বড় ইনিংস, সেটি ৭০–৮০ ও নয়, সেঞ্চুরি প্রয়োজন এবং এটি সে নিজেও স্বীকার করে।’
এএইচএস