সিলেটে উদযাপনের মঞ্চ প্রস্তুত করে চা পানে গেল জিম্বাবুয়ে

টেস্টে কখনোই ১৬২ রানের বেশি তাড়া করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তাই সিলেট টেস্টে জিততে হলে সফরকারীদের রেকর্ড গড়তে হবে। সিলেটের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সেই পথেই এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ দিনের চা বিরতিতে যাওয়ার আগেই জয়ের মঞ্চ অনেকটাই প্রস্তুত করে ফেলেছে রোডেশিয়ানরা।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। দুই অপরাজিত ব্যাটার ব্রায়ান বেনেটের সংগ্রহ ৫২ রান, আর শন উইলিয়ামস ৪ বল খেলেও এখনো রানের খাতা খুলতে পারেননি। জয়ের জন্য তাদের করতে হবে আরো ৫৭ রান। হাতে আছে ৮ উইকেট।
১৭৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান রীতিমতো ঝড় তোলেন! বিশেষ করে বেনেট শুরু থেকেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেছেন। প্রথম ইনিংসেও নতুন বলে কাউন্টার অ্যাটাককে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। এবারও হাঁটলেন একই পথে। তাতে সফলও হলেন।
বেনেটের থেকে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করলেও বাংলাদেশি বোলারদের খেলতে বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হয়নি আরেক ওপেনার কারানের। দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফিরেছেন ফিফটি না পাওয়ার আফসোস সঙ্গী করে!
ইনিংসের ২১তম ওভারে কারানকে ফেরান মেহেদি আহসান মিরাজ। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের ফুল লেংথের বল লং অনের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে ধরা পড়েন কারান। ৭৫ বলে ৪৪ রান করেছেন এই ওপেনার। তার বিদায়ে ভাঙে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
মিরাজের পর ব্রেকথ্রু দিয়েছেন আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ২৬তম ওভারের শেষ বলটি মিড স্টাম্পের অপর করেছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সেখানে টার্নের আশায় ব্যাট পেতেছিলেন নিক ওয়েলচ। তবে বল সোজা আঘাত হানে তার পায়ে। সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বলে ১০ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
দুই উইকেট নিলেও ম্যাচ পুরোপুরি জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণে। এখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরাতে হলে ম্যাজিকাল কিছু করতে হবে টাইগারদের!
এইচজেএস