পিএসএলে ‘চাকিং’য়ের অভিযোগের মাঝে রিজওয়ান-মুনরোকে শাস্তি

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) এবার স্বাগতিক স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ ইফতিখারের বিরুদ্ধে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ উঠেছে। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের ওপেনার কলিন মুনরো এই অভিযোগ তোলার পর তার সঙ্গে বিবাদে জড়ান মুলতান সুলতান্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ঘটনায় দুই ক্রিকেটারকেই ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল (বুধবার) মুখোমুখি হয়েছিল ইসলামাবাদ ও মুলতান। যেখানে মুলতানের করা ১৬৮ রানের জবাবে ৭ উইকেটে জিতেছে ইসলামাবাদ। এর আগে ম্যাচ চলাকালে তর্কে জড়ানো মুনরো-রিজওয়ানের বিরুদ্ধে পিএসএলের কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-২ ভাঙার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ওই আইনে ‘কোনো ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, আম্পায়ার কিংবা ম্যাচ রেফারির সঙ্গে অসদাচরণ’কে অপরাধ বলে সাব্যস্ত করা হয়।
রিজওয়ান ও মুনরোর মাঝে সেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় মুলতান-ইসলামাবাদ ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে। মুলতানের স্পিনার ইফতিখার বোলিং করার সময় অবৈধ অ্যাকশনের ইঙ্গিত দেন ইসলামাবাদের কিউই ব্যাটার মুনরো। অভিযোগ শুনে এই পাকিস্তানি স্পিনারও ক্ষেপে যান এবং তিনি গিয়ে সেটি স্কয়ার-লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউনকে জানান। উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো রিজওয়ানও সেই অভিযোগ মানতে পারেননি, ফলে তিনি তর্কে জড়ান মুনরোর সঙ্গে।
— IF7 (@IF7____) April 23, 2025
এই ঘটনায় পিসিবি দুই ক্রিকেটারের জরিমানা করলেও, ইফতিখারের বিরুদ্ধে ‘চাকিংয়ের’ অভিযোগ আমলে নেয়নি। যদিও ম্যাচ রেফারি আলি নাকভি এবং ক্রিকেট বোর্ড তর্কে জড়ানো রিজওয়ান-মুনরোর বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন। ইফতিখারের বোলিং নিয়ে কোনো আম্পায়ারই অভিযোগ দেননি বলে জানিয়েছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো। এমনকি নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারেও কখনও এমন অভিযোগের মুখে পড়েননি এই ডানহাতি অফস্পিনার। এর আগে মোহাম্মদ আজমল ও মোহাম্মদ হাফিজরা বোলিং অ্যাকশনের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ‘দ্য হান্ড্রেড’–এ খেলার সময় পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ হাসনাইনের বিরুদ্ধে ‘চাকিং’য়ের অভিযোগ তোলেন মার্কাস স্টয়নিস। সম্প্রতি হাসনাইন সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেন। ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটার রস টেইলরের অভিযোগের পর বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন মোহাম্মদ হাফিজ। সবমিলিয়ে তিনি এমন শাস্তি পান তিন দফায়। যদিও পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক টেইলরের সেই অভিযোগকে ‘অসম্মানজনক’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
এএইচএস