আইপিএলে এমন দিন আগে দেখেনি চেন্নাই সুপার কিংস

মহেন্দ্র সিং ধোনি এলেন অধিনায়কের দায়িত্বে। আইপিএলের হলুদ ব্রিগেড নামে পরিচিত চেন্নাই সুপার কিংসের পুরো স্কোয়াডেই এসেছে একাধিক পরিবর্তন। কিন্তু এতকিছুর পরেও চেন্নাইয়ের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন নেই এবারের আইপিএলে। একের পর এক হারে বিপর্যস্ত দলটা আছে পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে।
সবশেষ তারা হেরেছে সানরাইজার্স হায়দরবাদের কাছে। গেল আসরের রানারআপ দলটা এবার নিজেই হারের চক্রে বন্দী। কিন্তু তারাও গতকাল চেন্নাইকে হারের স্বাদ দিয়েছে তাদেরই ঘরের মাঠে গিয়ে। এর আগে কখনোই চেন্নাইকে তাদের ঘরের মাঠে হারাতে পারেনি হায়দরাবাদ। তবে ধোনির দলের এমনই দুরাবস্থা, সেটাও হজম করতে হলো গতকালের ম্যাচে।
এই নিয়ে এবারের আসরে ঘরের মাঠে ৪র্থ এবং সবমিলিয়ে ৭ ম্যাচ হেরেছে চেন্নাই। আর দুটোই আইপিএলের অন্যতম সফল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য এনে দিয়েছে নতুন এক লজ্জার রেকর্ড।
চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল অভিষেকের পর থেকে কেবল দুবার ঘরের মাঠে ৪ ম্যাচ হেরেছে। তবে সেটা কখনোই এত দ্রুত হজম করতে হয়নি তাদের। এর আগে ২০০৮ সালে ঘরের মাঠে ৭ ম্যাচের মধ্যে চার হার দেখেছিল তারা। সেটাই ছিল ৫ বারের চ্যাম্পিয়নদের ঘরের মাঠে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ঘরের মাঠে ৪ হার।
এবারে অবশ্য নিজেদের মাঠ এম চিদাম্বারামে মাত্র ৫ ম্যাচের মধ্যেই ৪টি হার হজম করে ফেলেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। তবে এবারের হারে আরও এক বৈচিত্র্যতা রয়েছে। ঘরের মাঠে এর আগে কখনোই টানা ৪ হার দেখতে হয়নি চেন্নাইকে।
সবমিলিয়ে এবারের আসরে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল হেরেছে ৭ ম্যাচ। আইপিএল ইতিহাসে এর আগে কখনোই মৌসুমের প্রথম ৯ ম্যাচের মধ্যে ৭ হার হজম করতে হয়নি চেন্নাইকে। দুঃসময়ে ঠাসা এই মৌসুমে চেন্নাইকে নিজেদের পতনের নতুন নতুন বিন্দু দেখতে হচ্ছে। মৌসুমের ৯ ম্যাচে ৭ হার সেটারই এক সংযোজন। সবশেষ ২০২০ এবং ২০২২ সালে প্রথম ৯ ম্যাচে ৬টি করে ম্যাচ হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস।
তবে এমন দুরাবস্থার মাঝেও আইপিএল থেকে পুরোপুরি বাদ বলা যায় না চেন্নাইকে। নিজেদের পরের ৫ ম্যাচের সবকটিতে জয় পেলে তাদের পক্ষেও প্লে-অফে যাওয়া সম্ভব। তবে সেজন্য মেলাতে হবে অনেক যদি-কিন্তুর হিসেব। রানরেটের ভাগ্যটাও পাশে পেতে হবে তাদের।
জেএ