‘যদি-কিন্তু’র সমীকরণ মিলিয়ে যেভাবে প্লে-অফে যেতে পারে কলকাতা

পুরো আসরে চেন্নাই জিতেছিল মোটে ২ ম্যাচ। আসরের প্রায় পুরোটা সময় তলানির দল হিসেবেই সময় পার করেছে তারা। সেই দলটাই কি না কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে এসে স্বাগতিকদের হারিয়েছে ২ উইকেটের ব্যবধানে। আর সেটায় কপাল বেশ ভালোই পুড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের।
অথচ চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাতে পারলে পয়েন্ট তালিকায় উন্নতি হত কলকাতা নাইট রাইডার্সের। দিল্লি ক্যাপিটালসকে সরিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে আসতো রাহানের দল। কিন্তু জিততে পারেনি কলকাতা। দারুণ শুরুর পরেও ডেওয়াল্ড ব্রেভিস এবং শিভাম দুবের ব্যাটে ভর করে জয় তুলে নেয় চেন্নাই।
অবশ্য এই হারের পরেও প্লে-অফ থেকে ছিটকে যায়নি কলকাতা। এখনও সুযোগ রয়েছে রাহানেদের। কিন্তু এজন্য মেলাতে হবে ‘যদি-কিন্তু-তাহলে’র সমীকরণ। সমীকরণের জটিলতায় যাওয়ার আগে পয়েন্ট টেবিলে কলকাতার অবস্থান দেখা যাক এক নজরে।

এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকায় ছয় নম্বরে রয়েছে কেকেআর। ১২ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট তাদের। নেট রানরেট ০.১৯৩। পাঁচ নম্বরে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালস খেলেছে ১১ ম্যাচ। তাদের পয়েন্ট ১৩। চার নম্বরে রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ১২ ম্যাচ খেলে হার্দিক পান্ডিয়ার দলের পয়েন্ট ১৪।
আরও পড়ুন
এই মুহূর্তে কলকাতার বাকি আর দু’টি ম্যাচ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি তাদের। এই দুই ম্যাচ জিতলে ১৫ পয়েন্টে শেষ করবে তারা। এর মাঝে কোনো ম্যাচেই হারা যাবে না তাদের। সেক্ষেত্রেই কেবল বেঁচে থাকবে সম্ভাবনা। আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় প্রথম তিন দলকে ধরা সম্ভব না কলকাতার পক্ষে। হিসেবটা তাই চতুর্থ স্থান নিয়ে। যেখানে কলকাতাকে লড়তে হবে মুম্বাই এবং দিল্লির বিপক্ষে।
মুম্বাইয়ের বাকি রয়েছে দুই ম্যাচ। পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের বাকি তিনটি ম্যাচ। প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংস, গুজরাট টাইটান্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বাই যদি আর একটি ম্যাচ জেতে তা হলেই কেকেআরের প্লে-অফের আশা শেষ। অর্থাৎ, তাদের বাকি দুই ম্যাচ হারতে হবে।

সে ক্ষেত্রে দিল্লির কাছেও হারবে হার্দিক পান্ডিয়ার। দিল্লিকে আবার মুম্বাই ছাড়া তাদের বাকি দু’টি ম্যাচ হারতে হবে। তা হলে মুম্বাইয়ের পয়েন্ট হবে ১৪। দিল্লির পয়েন্ট হবে ১৫। আর তখন দিল্লির চেয়ে নেট রান-রেট বেশি হলেই প্লে-অফ খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
জেএ