পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে পিএসএল

পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট পিএসএলের দুই-তৃতীয়াংশ ম্যাচ শেষ। প্রতিটি দলের মনোযোগ এখন চূড়ান্ত পর্বের দিকে। এরই মাঝে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারতের সঙ্গে তাদের চলমান রেশ গিয়ে পড়েছে পিএসএলেও। তারা পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যার একটি আঘাত করেছে পিএসএলের ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের পাশে। এমতাবস্থায় নিরাপত্তা শঙ্কায় পড়েছে পুরো টুর্নামেন্ট।
সেই শঙ্কা থেকেই পিএসএল স্থগিত কিংবা পাকিস্তানের বাইরে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে। ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, পিএসএলের সূচিতে বিঘ্ন ঘটতে পারে চলমান আন্তঃরাষ্ট্রীয় উত্তেজনার কারণে। সে কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই কিংবা কাতারের দোহায় পিএসএল সরিয়ে নিতে পারে পিসিবি। পিন্ডি স্টেডিয়ামের পাশে ড্রোন হামলার পরই তারা আজকের (বৃহস্পতিবার) করাচি কিংস বনাম পেশোয়ার জালমির ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে।
পিসিবির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘পিসিবি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং পিএসএলের সূচি পুনরায় দেওয়া হতে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শেষেই বিষয়টি বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।’ পিএসএল খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের ড্রোন হামলার কারণে পাকিস্তানের সকল বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। তবে (বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে) এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আরও পড়ুন
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পিসিবি জরুরি সভায় বসেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম। জিও নিউজ বলছে, আজ বিকেলে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পিএসএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকদের সঙ্গে পিসিবি জরুরি সভায় বসেছে। পিএসএল এবং তাদের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর বিষয় বিবেচনায় রয়েছে তাদের। পিএসএলের বাকি ১০ ম্যাচ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হতে পারে, তবে এটি নির্ভর করছে লজিস্টিক্যাল সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনার ওপর।
ইতোমধ্যে পাকিস্তানের লিগপর্বে ২৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই রাউন্ডে বাকি আর ৪ ম্যাচ, ছয় দলের এই প্রতিযোগিতার প্লে-অফ শুরু হবে ১৩ মে থেকে। এরপর ১৮ মে ফাইনাল দিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে পিএসএলের দশম আসর। এর আগে ভারত-পাকিস্তানের পরস্পর উত্তেজনার কারণে সনি ও ফ্যানকোডের মাধ্যমে ভারতে পিএসএলের সম্প্রচার বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এএইচএস