লিটন-তামিমদের ধসিয়ে দিয়ে যা বললেন হাসান আলি

দলে এসেছেন প্রায় এক বছর পর। আর সেই ফেরাটাই স্মরণীয় করে রেখেছেন হাসান আলি। লাহোরে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের একাই নাভিশ্বাস তুলে দেন এই পেসার। গতকাল লাহোরে হাসানের বোলিং তোপে ১৬৪ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। দলের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন হাসান আলি।
ম্যাচ শেষে সন্তুষ্টি নিয়ে হাসান বলেন, ‘আমার জন্য গত ৭-৮ মাস অনেক কঠিন গেছে। ক্যারিয়ার হুমকিতে ফেলে দেওয়া ইঞ্জুরি ছিল। আলহামদুলিল্লাহ্ এমন পারফরম্যান্স করতে পেরেছি। আমি খুশি অবশ্যই যে পাকিস্তানের হয়ে ৫ উইকেট নিতে পেরেছি কামব্যাক করতে পেরেছি। দলে ছোট হলেও কিছুটা অবদান রাখতে পেরেছি।’
হাসান আরও বলেন, ‘দেখুন পারফর্ম করলে আত্মবিশ্বাস বেশি থাকবে। আমি এমন একজন যে সবসময় ইতিবাচক থাকতে চায় এবং কীভাবে কামব্যাক করা যায় তা ভাবে। আমি এভাবেই এগিয়েছি। বারবার চেয়েছি কামব্যাক করতে পারফর্ম করতে। দুনিয়াতে অনেক বড় প্লেয়ার এসেছে যাদের পারফরম্যান্স আপডাউনের মধ্য দিয়ে গেছে। সব ম্যাচেই পারফরম্যান্স আসবে না। এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে আপনাকে।’
লম্বা সময় পর খেলায় ফেরা নিয়ে হাসান বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রমের অবদান আছে এখানে। এনসিএকেও (ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি) ধন্যবাদ দিতে হবে। মেডিকেল প্যানেলও অনেক পরিশ্রম করেছে। সবাইকেই ধন্যবাদ দিতে হবে। ফিজিও আমার সাথে কাজ করেছে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। এখানে সবার সাথে ভালো বন্ডিং আমার। ৬ বছর পর একসাথে খেলা, অবশ্যই দারুণ ব্যাপার। অন্যরকম ফিলিং। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ৫ উইকেট নিয়ে দলে অবদান রাখতে পেরেছি। ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে বলব এখনও লম্বা সময় বাকি। অবশ্যই আমি বিশ্বকাপে খেলতে চাই এবং পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে চাই। এই সিরিজটা খেলতে হবে আগে। পারফরম্যান্স এমন থাকলে এবং দল আমাকে চাইলে কেন নয়?’
প্রত্যাবর্তন নিয়ে হাসান আরও বলেন, ‘কামব্যাক কখনওই সহজ নয়। স্কিল ধরে রাখতে হবে, পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে। প্রসেস ধরে আগাতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে। তাহলেই সমস্যা হবে না। সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আমার পরিবার, তারা আমাকে সাপোর্ট দিয়ে গেছে সবসময়। আমি অনেক খুশি। সাপোর্ট করে যান আমাকে এবং পাকিস্তানকে।’
এসএইচ/জেএ