বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আশাভঙ্গ বাংলাদেশের

নেপালের কাঠমান্ডুতে চলছে বিশ্বকাপ টেবিল টেনিসের দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলের বাছাই। নানা ঘটনার পর বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন নারী ও পুরুষ উভয় দলই পাঠিয়েছে। দুই দিন ব্যাপী প্রতিযোগিতার প্রথম দিনেই বাংলাদেশের দুই দল তিনটি করে ম্যাচ হেরেছে।
পুরুষ দল দিনের প্রথম ম্যাচেই মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-২ সেটে হেরেছে। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দল কখনো হেরেছে এমন রেকর্ড নেই। সাবেক তারকা টিটি খেলোয়াড়ও এটি স্মরণ করতে পারেননি। আজ নেপালের কাঠমান্ডুতে এমন ঘটনাই ঘটেছে।
দিনের শুরুর মতো বিকেল ও সন্ধ্যায় খারাপ হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে হার অনুমেয়ই ছিল। তবে কোনো সেটেই জিততে পারেনি। সরাসরি ৩-০ ব্যবধানে পরাজয়। স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩-২ হার।
আগামীকাল সকালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচে জিতলে শুধু সান্তনা। বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে স্বীকার করে নিলেন পুরুষ দলের অন্যতম খেলোয়াড় জাভেদ আহমেদ, 'আমাদের এখন আর বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা নেই। তিন ম্যাচই হেরেছি কাল শ্রীলঙ্কাকে হারালেও হবে না।’ হারের কারণ হিসেবে টেবিলকে সামনে এনেছেন জাভেদ, 'গতকাল যে টেবিলে অনুশীলন করেছি আজ টুর্নামেন্টের সময় দেখলাম ভিন্ন। এই টেবিলে বল অনেক বাউন্স করে এজন্য আমাদের অনেক কষ্ট হয়েছে।’
পুরুষদের মতো নারীরাও তিন ম্যাচ হেরেছেন। পুরুষ দুই ম্যাচে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নারী দল সেটাও পারেননি। মালদ্বীপের কাছে ১-৩ ও ভারতের বিপক্ষে ০-৩ সেটে হেরেছে। স্বাগতিক নেপালকেও হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের টেবিল টেনিসে এত ব্যর্থতাময় দিন সাম্প্রতিক সময় তো নয়-ই শেষ কবে এসেছিল সেটা দেখার বিষয়।
বিশ্বকাপ টিটির বাছাইয়ে টেবিল ফেডারশেন সিলেকশনের ভিত্তিতে দল নির্বাচন করতে চেয়েছিল। খেলোয়াড়রা সিলেকশনের পরিবর্তে র্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দল গঠনে অনড় ছিলেন। এই দ্বন্দ্বে ফেডারেশন দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গণমাধ্যমে সমালোচনা ও ক্রীড়া প্রশাসনে দৃষ্টি আকর্ষণের পর ফেডারেশন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে র্যাংকিংয়ে দল পাঠায়। টুর্নামেন্টের মাত্র পাঁচ-ছয় দিন আগে খেলোয়াড়রা বিষয়টি জানতে পারে।
এজেড/এইচজেএস