রোনালদোরা মাটিতে নামালেন অজেয় মিলানকে

ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল এসি মিলান। সেই দলটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্তাস শীর্ষ চারে ফিরে এসেছে।
মিলানের মাঠ সান সিরোয় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলেছে জুভেন্তাস। প্রথম সুযোগটাও পেয়েছে তারাই। জিয়ানলুকা ফ্রাবোত্তার বাড়ানো বলে করা দিবালার শট মিলান রক্ষণ-দেয়ালে লেগে দিক বদল করে গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুমার হাতে না পৌঁছালে হয়তো ম্যাচের শুরুর দিকেই এগিয়ে যেন ‘বিয়েঙ্কোনেরিরা’।
১১ মিনিটে উল্টো বিপদে পড়ে যাচ্ছিল জুভেন্তাসই। যে যাত্রায় স্যামুয়েল কাস্তিয়েহোর শট কর্নারের বিনিময়ে বিপদমুক্ত করেন ভয়চেখ সজ্যাসনি। ১৬ মিনিটে আবারও আক্রমণে কোচ আন্দ্রেয়া পিরলোর শিষ্যরা। ফ্রেদেরিকো চিয়েসার শট প্রতিহত হয় গোলপোস্টে। জুভেন্তাসকে অবশ্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি গোলের জন্যে। পাওলো দিবালার সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে আড়াআড়ি শটে দলকে এগিয়ে দেন দুই মিনিট আগে গোলবঞ্চিত থাকা চিয়েসা। ২১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েও হতাশ করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
কোচ স্তেফান পিওলির শিষ্যরা ম্যাচে ফেরার আভাস দিতে থাকে গোল হজমের পরপরই। ৪১ মিনিটে তারই সুবাদে সমতা ফেরায় মিলান। রাফায়েল লিয়াওয়ের পাস থেকে বক্সের রেখা থেকে ডেভিড কালাব্রিয়ার আগুনে শটের কোনো জবাবই দিতে পারেননি জুভেন্তাস গোলরক্ষক সজ্যাসনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টা ছিল মিলানের। তবে দিয়েগো দালতের শটটি দারুণ চেষ্টায় ঠেকিয়ে দেন জুভেন্তাস গোলরক্ষক। ৫৬ মিনিটে জুভেন্তাস দারুণ সুযোগ পেয়েও গোলবঞ্চিত থাকে। ম্যাথিয়াস ডি লিখটের ক্রসে হতাশ করেন অ্যারন রামসে।
৬২ মিনিটে আবারও চিয়েসা-ঝলক। প্রতি আক্রমণে পাওলো দিবালার ক্রস থেকে করা তার আগুনে শট ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেয় সিরি’আ শিরোপাধারীদের।
এরপরই অবশ্য চিয়েসা-দিবালা জুটির দায়িত্ব শেষ হয়। বদলি হিসেবে নামা ওয়েস্টন ম্যাককেনি গোল পেয়ে যাচ্ছিলেন একেবারে শুরুর দিকেই। রোনালদোর বাড়ানো বল থেকে তার শট প্রতিহত করেন ডনারুমা।
এর আগে ১৭ ম্যাচে অন্তত দুটো করে গোল করেছে মিলান। এক গোলের অগ্রগামিতা তাই খুব একটা নিরাপদ ছিল না জুভেন্তাসের। নিরাপত্তার তৃতীয় গোলটির জন্যে অবশ্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি দলটিকে। ৭৬ মিনিটে দেয়ান কুলুসেভস্কির পাস থেকে ম্যাককেনির গোলে ম্যাচটা মিলানের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায় জুভেন্তাস।
৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া তুরিনের দলটি ১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে তালিকার চতুর্থ স্থানে। অন্য দিকে মিলান আছে শীর্ষেই। ১৬ ম্যাচ থেকে দলটির সংগ্রহ ৩৭ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৩৭। ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে রোমা।
এনইউ